Blog

  • জানা গেল সারজিসের স্ত্রীর পরিচয়

    জানা গেল সারজিসের স্ত্রীর পরিচয়

    জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বিয়ে করেছেন। বিয়ের খবরে সারজিস আলমকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানানোর পাশাপাশি অনেকে নববধূর পরিচয় জানতে চেয়েছেন।

    বিয়ের খবরের পর তাৎক্ষণিক বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।তবে বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে সারজিসের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ি সম্পর্কে।

    জানা গেছে, সারজিসের স্ত্রী একজন কুরআনের হাফেজা। সব সময় পর্দা করে চলেন তিনি। তাই তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

    সারজিসের শ্বশুরের নাম ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান। তার বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ২ নম্বর গৌরীচন্না ইউনিয়নে লাকুরতলা গ্রামে। পেশার তাগিদে ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান স্ত্রী, মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে রাজধানীর বাসাবোর শাহজাহানপুর এলাকায় বসবাস করেন।

    লুৎফর রহমানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গাজিপুরের রাজেন্দ্র রিসোর্টে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) আসরের নামাজের পর পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিষয়টি মিডিয়া থেকে দূরে রাখতে বর্তমানে পরিবারসহ ওই রিসোর্টেই অবস্থান করছেন তারা। ব্যারিস্টার লুৎফর রহমানের তিনটি সন্তানের মধ্যে সারজিস আলমের স্ত্রী সবার বড়।

    এদিকে নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি ছবি শেয়ার করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, নবজীবনে পদার্পণে অভিনন্দন সারজিস ভাই। বিবাহিত জীবন সুখের হোক।

    ওই ছবিতে সারজিসকে শেরওয়ানি ও পাগড়ি পরিহিত দেখা গেছে। ছবিতে সারজিসের দুই পাশে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকেও দেখা গেছে।

    এদিকে ফেসবুকে হাসনাত আবদুল্লাহও সারজিসকে অভিনন্দন জানান। তিনি লেখেন, অভিনন্দন, বন্ধু সারজিস! অফুরন্ত ভালবাসা এবং সুন্দর মুহূর্তে ভরে উঠুক তোমার জীবন।

    এ ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে সারজিস আলমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

     

  • বাবার মৃত্যুতে রাতে বাড়িতে এসে আটক যুবদল নেতার সকালে মৃত্যু

    বাবার মৃত্যুতে রাতে বাড়িতে এসে আটক যুবদল নেতার সকালে মৃত্যু

    কুমিল্লায় বাড়ি থেকে গভীর রাতে তৌহিদুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবদল নেতাকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে যাওয়ার পর নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। তৌহিদুলের শরীরে নির্যাতনের ক্ষতচিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক ও স্বজনেরা।

    শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিজ বাড়ি থেকে যৌথবাহিনী তৌহিদুলকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন স্বজনেরা।

    তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের ইটাল্লা সরদার বাড়ির মোখলেছুর রহমান সরদারের ছেলে। তিনি পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তৌহিদুল চট্টগ্রাম বন্দরে একটি শিপিং এজেন্টে চাকরি করতেন। গত রবিবার তার বাবা মোখলেছুর রহমানের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি বাড়ি আসেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার তার বাবার কুলখানি হওয়ার কথা ছিল। সংসারে তৌহিদুলের স্ত্রী ও চার কন্যাসন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাত পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি সেনাবাহিনী।

    এ বিষয়ে তৌহিদুল ইসলামের ভাই সাদেকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য এবং সিভিল পোশাকে কয়েকজন ব্যক্তি আমার ভাইকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় যৌথবাহিনী আমার ভাইসহ আরেকজনকে নিয়ে বাড়িতে এসে এক ঘণ্টা যাবত বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি চালায়। তল্লাশির পরে কোনো অস্ত্র না পেয়ে আমার ভাইকে তারা নিয়ে যায়।

    তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ আমাদের ফোন করে বলে- গোমতী বিলাসের কাছে আমার ভাই আহত অবস্থায় পড়ে আছে। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। প্রথমে কুমিল্লা সদর হাসপাতাল এবং পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    তৌহিদুলের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার বলেন, ‘আমার চারটা মেয়ে এখনও ছোট। আমি এখন কী করব, মেয়েগুলোকে নিয়ে কীভাবে বাঁচব? আমার স্বামী তো কোনো অপরাধ করেনি। তাহলে কেন আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে এভাবে হত্যা করা হলো? আমি পুরো ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং বিচার চাই।’

    কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, তৌহিদুল ইসলাম খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তৌহিদুল ইসলামের ওপর নির্যাতন হয়েছে মরদেহ দেখে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। আমরা এ ঘটনায় বিচার চাই।

    কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তানভীর আহমেদ বলেন, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ তৌহিদুল ইসলামকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

    কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ফোন করে জানান আহতের কথা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    তিনি বলেন, কী কারণে তাকে আটক করা হয়েছে, সেটা জানায়নি যৌথবাহিনী। তবে তৌহিদুলের বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই।

  • বিএনপির বিতর্কিত মাটি খেকো নিজাম উদ্দিন তিন মাসের জন্য স্থগিত

    বিএনপির বিতর্কিত মাটি খেকো নিজাম উদ্দিন তিন মাসের জন্য স্থগিত

    বিএনপির ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিনকে দলীয় পদসহ সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক ও সদস্য সচিব মোস্তফা জামান এই স্থগিতাদেশ অনুমোদন করেন। বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক (দপ্তরের দায়িত্বে) এ বি এম এ রাজ্জাক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিজাম উদ্দিন দলীয় নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, যা দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী।

    স্থানীয়দের অভিযোগ;

    এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিজাম উদ্দিন অতীতে আওয়ামী লীগ নেতা ও চাঁদাবাজ লতিফ মোল্লার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। সেই সময় তিনি দুয়ারীপাড়া ও আশপাশের এলাকায় জমির কাগজপত্র জালিয়াতি করতেন এবং বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে গোপনে চাঁদা আদায় করতেন। অনুগত না হলে লতিফ মোল্লার বাহিনী দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হতো।

    বিএনপির নেতা হওয়ার পরও নিজাম উদ্দিনের অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ হয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তারা জানান, ওয়াকফ সম্পত্তি ও অন্যান্য প্লটের নির্মাণাধীন ভবনের কাজের নিয়ন্ত্রণ তিনি নিজের হাতে রেখেছেন। ঠিকাদারদের বাধ্য করা হচ্ছে তাঁর সঙ্গে কাজ করতে, না হলে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেওয়া হয়।

    এলাকায় তিনি “ওসি মোকাম্মেলের ভাই” পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রভাব বিস্তার করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি ভোলা হলেও দীর্ঘদিন ধরে তিনি রুপনগর এলাকায় অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। বিএনপির শাসনব্যবস্থা কায়েম হলে তিনি প্রকাশ্যে দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে আবারও চাঁদাবাজি ও দখলদারির মতো কার্যকলাপ শুরু করেছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন।

    স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি;

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বিএনপি শুধু তিন মাসের জন্য স্থগিত না করে চিরতরে নিজাম উদ্দিনকে দল থেকে বহিষ্কার করলে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। একাধিক বাসিন্দার মতে, নিজামের মতো বিতর্কিত ব্যক্তিদের দলে রাখা হলে বিএনপির প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কমে যাবে। তাই দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করলে বিএনপির জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে বলে তারা মনে করেন।

    বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, দলের অভ্যন্তরীণ তদন্তের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

  • গুলশান-১ অবরোধ তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের

    গুলশান-১ অবরোধ তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের

    সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণার দাবিতে বেশ কয়েকমাস ধরে আন্দোলন করছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। সবশেষ গত বুধবার থেকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন তারা। এবার একই দাবিতে রাজধানীর গুলশান ১ নম্বর সড়কের মোড়ে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেছেন তারা৷

    শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে এ অবরোধ শুরু হয়েছে।

    অবরোধের ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বের হওয়া গাড়িগুলোকে মোড়ের চারপাশের সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এ সময় অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণার দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতেও দেখা গেছে।

    আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বলেন, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর দাবিটি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের। কিন্তু এই যৌক্তিক দাবিটি নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। আমাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ২ দিন কর্তৃপক্ষের সেই দিকে কোনো নজর নেই। কিছুক্ষণ আগেও দুজন শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সেজন্য আমরা এখন সড়ক অবরোধ করেছি।

    অনতিবিলম্বে এ দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। আর তা না হলে আন্দোলন চলবে। একইসঙ্গে কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর সম্পর্কিত আমাদের সাত দফা দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত বাস্তবায়ন না হবে ততক্ষণ আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।

    শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবিগুলো হচ্ছে —

    ১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।

    ২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

    ৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করতে হবে।

    ৪. ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুটি বিষয় ‘আইন’ এবং ‘জার্নালিজম’ বিষয় সংযোজন করতে হবে।

    ৫. একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

    ৬. শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিত করতে হবে।

    ৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ করতে হবে।

    এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তখন তিনি তাদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। তবে শিক্ষার্থীরা তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

  • চাকরিচ্যুত সদস্যদের জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করার আহ্বান পুলিশের

    চাকরিচ্যুত সদস্যদের জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করার আহ্বান পুলিশের

    বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাদের রাস্তা অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

    শুক্রবার পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের ১ হাজার ৫২২টি আবেদন ইতোমধ্যে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে গ্রহণ করা হয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে কনস্টেবল ১ হাজার ২৫, নায়েক ৭৯, এএসআই/এটিএসআই ১৮০, এসআই/সার্জেন্ট/টিএসআই ২০০, ইন্সপেক্টর ১০ এবং নন-পুলিশ সদস্য ২৮ জন। তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল সংক্রান্ত আবেদন পর্যালোচনার জন্য ডিআইজির নেতৃত্বে গঠিত কমিটি কাজ করছে। আবেদনগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে দেখা যাচ্ছে, তারা ফৌজদারি/আর্থিক/নৈতিক স্খলন/আচরণগত/বিভাগীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত অপরাধেও চাকরিচ্যুত হয়েছেন।

    পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, তাদের অনেকের আবেদন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল/ প্রশাসনিক অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের অধীনেও বিচারাধীন রয়েছে। চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা যাতে ন্যায়বিচার পান সেজন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে ২৯ জানুয়ারি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সামনে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা মানববন্ধনে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল তাদের কাছে গিয়ে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বিস্তারিত বলার পরও চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা রাস্তা অবরোধের মতো জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী কর্মসূচি করেছেন।

  • কুমিল্লায়  প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

    কুমিল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

    কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাতিসা ইউনিয়নের লুদিয়ারা জহির আহম্মদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহিনা আক্তার এর বিরুদ্ধে অভিযোগের সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

    বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে সচেতন নাগরিকের ব্যানারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির আহমেদ ভূঁইয়া, বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মো: হারিসুল আলম ও দাতা সদস্য মো: ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া প্রমুখ।
    এ সময় গ্রামবাসীর পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো: অহিদুর রহমান মজুমদার, আতিকুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল ফরহাদ, রেজাউল করিম মিন্টু, আরিফুর রহমান আরব সহ এলাকার সচেতন অভিভাবক মহল, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
    উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষিকা শাহিনা আক্তার এর বিরুদ্ধে অনিয়ম,বিদ্যালয়ের বিদায়ী শিক্ষকদেরকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে ভোগান্তি,বকেয়া বেতন পরিশোধ না করা, তুচ্ছ ঘটনায় দুইজন শিক্ষকের যথাক্রমে ১৮ ও ৩০ মাসের বেসরকারি বেতন আটকে রাখা, কোনো রকম টেন্ডার ছাড়া বিদ্যালয়ের একটি পুরাতন ভবন বিক্রি করে অর্থ আত্মসাত ও বিদ্যালয় আঙ্গিনার গাছ বিক্রির ৭০ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ব্ এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষিকা শাহিনা আক্তারের অপসারণ চেয়ে এর আগেও বিদ্যালয় ঘেরাও এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষক গত ২৯.০১.২০২৫ইং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর পৃথক অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়।
    এ বিষয়ে ভুক্তভোগি শিক্ষক মো: হারিসুল আলম বলেন, প্রধান শিক্ষিকা শাহিনা বেগম আমার প্রমোশন হওয়ার পর বিদ্যালয়ে জমা থাকা শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল মূল সনদ আটক করে রাখেন। বারবার অনুরোধ করার পরও তিনি আমাকে সনদগুলো দেননি।
    তিনি পদত্যাগ পত্র বাবদ আমার থেকে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি তুচ্ছ ঘটনায় আমার বেসরকারি বেতনের ২৭ হাজার ৩৬০ টাকা আটকে রাখেন। অদ্যবদি আমি সে টাকাগুলো পাইনি।
    এ বিষয়ে বহুবার উনার দারস্থ হয়েও কোনো সমাধান না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও নির্বাহী অফিসার বরাবর দরখাস্ত দিয়েছি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
    এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকার মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করেও নম্বরটিতে কল না যাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
    চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম মীর হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
    চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, ‘আজই অভিযোগটি হাতে পেয়েছি। ইতিমধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি গঠন করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

  • ভাইরাল সেই মোনালিসাকে নিয়ে মন্তব্য কঙ্গনার

    ভাইরাল সেই মোনালিসাকে নিয়ে মন্তব্য কঙ্গনার

    কাজলটানা বাদামি চোখ, শ্যামলা গায়ের রং। বেশ কয়েকদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল মোনালিসা নামের এই কন্যা। ভারতে চলতি বছরের মহাকুম্ভের মেলায় মালা বিক্রি করতে এসেই মূলত নেটিজেনদের নজর কাড়েন এই নারী।

    আবার শোনা যাচ্ছে, এই মোনালিসার কাছে নাকি বলিউড থেকে কাজের প্রস্তাব গেছে। এরপর থেকে নেটিজেনদের পর এবার বলিউড তারকাদের নজরেও শ্যামবর্ণের এই রূপবতী। ইতোমধ্যে মোনালিসার এই রূপের তারিফ করেছেন ইন্ডাস্ট্রিজের ঠোঁটকাটা খ্যাত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত।

    তবে মোনালিসার প্রসঙ্গ টেনে বলিউডে শ্যাম বর্ণের অভিনেত্রীদের অবমূল্যায়নের কথাও আনেন কঙ্গনা। অভিনেত্রী মনে করেন, দীপিকা পাডুকোন, বিপাশা বসু, কাজলের মতো নায়িকাদের একটা সময় যে কদর ছিল, সেই একই স্কিনটোনের নায়িকাদের কদর নাকি এই যুগে করা হয় না!

    সম্প্রতি মোনালিসার একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাগ করে নিয়ে কঙ্গনা লেখেন, নিজের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য নেটমাধ্যমে আকর্ষণ হয়ে উঠেছে মোনালিসা। ওর ছবি তোলার জন্য মানুষ যেভাবে ওকে হেনস্তা করছে, তা মোটেই সমর্থন করছি না। কিন্তু একটা প্রশ্ন করতেই হবে, রুপালি দুনিয়ায় কি আর ভারতীয় শ্যামলা সুন্দরীদের প্রতিনিধিত্ব কেউ করে? এক সময়ে অনু আগারওয়াল, কাজল, বিপাশা বসু ও রানি মুখার্জি এমনকি দীপিকা পাড়ুকোনকে মানুষ যেমন ভালবাসা দিয়েছে, তেমন কি এই প্রজন্মে হচ্ছে?

    একটা সময়ে গায়ের রং শ্যামলা হলেও কয়েক অভিনেত্রী প্রসাধনীর মাধ্যমে আজ ফর্সা হয়ে উঠেছে। কিন্তু তাদের মুখের মধ্যে আগের সেই লাবণ্য নেই- মনে করেন অভিনেত্রী। তাই কঙ্গনার প্রশ্ন, মোনালিসাকে যেভাবে গ্রহণ করা হলো, কেন নতুন প্রজন্মের শ্যামলা অভিনেত্রীদের গ্রহণ করছেন না দর্শক?

    শোনা যাচ্ছে,, মোনালিসা নাকি দক্ষিণী বিনোদন দুনিয়া থেকেও ডাক পেয়েছেন। যদিও সবটাই মৌখিক। এও শোনা যায়, মোনালিসার নাকি শুটিং সেটে যাওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই ছবিতে অভিনেত্রী ছিলেন সারা আলি খান। পর্দার সামনে সারা, নেপথ্যে মোনালিসা! কিন্তু তার সৌন্দর্যের কাছে নাকি ফিকে হয়ে যাচ্ছিলেন সারা। শেষমেশ নায়িকার জন্য মোনালিসার রূপটান মুছিয়ে দেন পরিচালক।

  • অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলন হচ্ছে

    অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলন হচ্ছে

    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সরাসরি হস্তক্ষেপে অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন হচ্ছে। তৃতীয় দফায় নির্ধারিত ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) জেলা সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা অংশ নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন।

    দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি ১৫ বছর পর দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করে। তবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির একাংশের নেতাকর্মীদের বিরোধিতায় সম্মেলন স্থগিত হয়। পরে আবারও দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি সম্মেলনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সেই তারিখেও অনুষ্ঠিত হয়নি জেলা বিএনপির সম্মেলন। এক পক্ষের বিরোধিতা থামিয়ে দেয় দ্বিতীয় দফার আয়োজন। পরে দুটি তারিখই পরিবর্তন করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। সম্মেলন সফলে লাঠি মিছিল, আবার সম্মেলনের বিরোধিতা করে মশাল, ঝাড়ু ও জুতা মিছিলও হয়েছে।

    কমিটি ও নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হকের নেতৃত্বে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বড় একটি অংশ এক পক্ষে। তারা দুজনই জেলা বিএনপির ৩২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। অন্যদিকে আহ্বায়ক আবদুল মান্নান, সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম ও সদস্য কবির আহমেদ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে আরেক পক্ষ সক্রিয়। প্রায় দুই বছর ধরে পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করছে দুই পক্ষ।

    তবে সম্প্রতি জেলা বিএনপির দুই পক্ষের বিরোধ সম্মেলন ঘিরে আরও বেড়েছে। কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্নভাবে এমনকি ঢাকাতে দুই পক্ষকে ডেকে নিয়ে সুরাহার চেষ্টা করলেও এতে সফল হননি।

    সস্মেলনের বিপক্ষে থাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকনের অভিযোগ, জেলার ১৪টি ইউনিটের ত্যাগী, আন্দোলন-সংগ্রামে কারাভোগ করা নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে ও স্বচ্ছ ভোটার তালিকা না করে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মন্নান ও সদস্য সচিব আলহাজ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।

    তবে অভিযোগের পাতা উল্টে শেষ পর্যন্ত তারেক রহমানের সরাসরি হস্তক্ষেপে দুই পক্ষের মধ্যে এখন ঐক্যের সুবাতাস দেখা দিয়েছে।

    সম্মেলন নিয়ে দুই পক্ষের কর্মসূচির জেরে গত মঙ্গলবার রাতে ভার্চ্যুয়ালি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হকের সভা হয়। সভায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ১ ফেব্রুয়ারি সম্মেলন সফল করার নির্দেশ দিলে তারা সম্মত হন।
    তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনার পর অবশ্য সম্মেলনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ভোট ছাড়া নেতৃত্ব নির্ধারণের দায়িত্ব নিয়েছেন তারেক রহমান নিজেই।

    এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন হবে। দ্বিতীয় অধিবেশনের বিষয়টি তিনি বিবেচনায় রাখবেন বলে জানিয়েছেন। তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা সম্মেলনে যোগ দেব।

    জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মান্নান জানান, পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। সম্মেলন সফলে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

  • ষড়যন্ত্রের জাল ছিঁড়তে দরকার নির্বাচিত সরকার : দুদু

    ষড়যন্ত্রের জাল ছিঁড়তে দরকার নির্বাচিত সরকার : দুদু

    মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ চলছে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বাংলাদেশ এখন যে ষড়যন্ত্রের জালে আটকে গেছে, সেই জাল ছিঁড়ে ফেলতে হলে জনগণের সরকার ও নির্বাচিত সরকার খুবই দরকার।

    বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী চালক দলের উদ্যোগে আয়োজিত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য অবিলম্বে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার দাবিতে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

    দুদু বলেন, বাংলাদেশ হাসিনামুক্ত হওয়ার পর মানুষের যে প্রত্যাশা ছিল, নির্বিঘ্নে, মানুষ বসবাস করবে। লুটেরাদের হাত থেকে দেশ রক্ষা পাবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। প্রশাসন মানুষকে সহায়তা করবে।
    কিন্তু, গত ৬ মাসে বাংলাদেশ যেভাবে চলেছে, যেভাবে এগোচ্ছে, ক্রমেই পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশ চলছে না।

    তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থায় যে সিন্ডিকেট শেখ হাসিনার সময় নিয়ন্ত্রণ করত, প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যেভাবে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছিল, এখনও বেড়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় এই অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব- দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করুন। যাতে করে সীমিত আয়ের মানুষ জীবন-যাপন করতে পারে। সেই পদক্ষেপ নিন।

    অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের উদ্দেশে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ড. ইউনূস সাহেব আপনি মানুষের উপকার করার জন্য দেশে ও সারা বিশ্বে সমাদৃত হয়েছেন। আপনার সুনাম আছে। যারা খুব নিপীড়িত ও অভাবী মানুষ, আপনি তাদের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক বানিয়েছেন। এখন ক্ষমতার শীর্ষপর্যায়ে আছেন। আপনার কাছে বা আপনার সরকারের কাছে দাবি জানানোর কোনো কারণ নেই। কারণ, আপনি নিজের থেকে যদি পদক্ষেপ নিতে না পারেন, তাহলে সেটা দেশ এবং মানুষের জন্য দুঃখজনক ঘটনা হবে।

    শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এই সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমর্থন করেছে বটে। কিন্তু, এই সরকারের কাছে প্রত্যাশিত ফল না পাওয়ার কারণ অন্যান্য রাজনৈতিক দল এখনো এই সরকারকে কাঁধে করে নিয়ে চলছে। কিন্তু, তারা তাদের কর্মসূচি, আগামী ভবিষ্যৎ নির্ধারণে যদি বারবার হতাশাজনক পরিস্থিতিতে পড়ে, তাহলে এই সমর্থন অব্যাহত রাখা কঠিন হবে।

    তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন- ‘নির্বাচন ও সংস্কারের ভেতরে কোনো সংঘাত নেই।’ কিন্তু, সরকারের পক্ষ থেকে একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে যে, কম সংস্কার করলে দ্রুত নির্বাচন দেওয়া যাবে। আর বেশি সংস্কার করলে একটু দেরি হবে। কম বেশির ব্যাপার না। সংস্কারের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধ নেই। সরকারের সঙ্গেও রাজনৈতিক দলের বিরোধ নেই।

    দুদু আরও বলেন, বাংলাদেশের আশপাশে অনেক শক্তি আছে, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করেছে। যারা দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে, তারা এখনো সক্রিয়। তারা এখনো খুনের জন্য আফসোস করে না। লুটপাটের জন্য লজ্জাবোধ করে না। তাদের এখনো রক্ষা করতে হবে এটার কোনো অর্থ নেই। তাদের অতিদ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তারা নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল খন্দকারের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন— বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, চালকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মানিক তালুকদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আক্কাস সওদাগর প্রমুখ।

  • এস আলম পরিবারের ৩৬৮ কোটি টাকার জমি জব্দ

    এস আলম পরিবারের ৩৬৮ কোটি টাকার জমি জব্দ

    দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম ও তার পরিবারের নামে থাকা ৩৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫শ টাকার জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    জব্দাদেশ হওয়া সম্পদ হলো- চট্টগ্রামের ১৮ নং ওয়ার্ড এলাকায় দশমিক ১৬৩৭ একর জমি, যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। একই ওয়ার্ডের আরেকটি জায়গা, যার পরিমাণ দশমিক ১৩৫০ একর, মূল্য ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। চট্রগ্রামের ১ নং পাথরঘাটা ইউনিয়নে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি। এটির মালিক এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম। যার বাজার মূল্য ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা। ওই ইউনিয়নেই দশমিক ৯০ একর জমি। যার মূল্য ৩৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। একই ইউনিয়নের ১ দশমিক ২০ একর জমি। মূল্য ৬০ লাখ টাকা। এস আলম কোল্ড স্টিল লিমিটেডের জমিগুলো হলো- পটিয়া উপজেলায় দশমিক শূন্য ৬ একর, মূল্য ৩০ হাজার টাকা। পটিয়ার শিকলবাহা ইউনিয়নের এক কানি দুই কড়া এক কন্ঠ দশ তিল, যার মূল্য ২১ লাখ টাকা। একই এলাকার দশমিক ২৮ একরের আরেকটি জমি। মূল্য ১৪ লাখ টাকা। দশমিক ৪১৫০ একর, মূল্য ২১ লাখ টাকা। দশমিক ২৬ একর যার মূল্য ১৩ লাখ টাকা। দশমিক ৩২ একর মূল্য ১৬ লাখ টাকা। দশমিক ৮০ একর ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকার জমি। দশমিক ১৪ একর মূল্য ৮০ হাজার টাকা। শূন্য দশমিক ৬ একর, মূল্য ৩০ হাজার টাকা। দশমিক ১৮৫০ একর মূল্য ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দশমিক শূন্য ৬ একর। মূল্য ৩ লাখ। দশমিক ১৫ একর ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দশমিক ৫৭৫০ একর, যার মূল্য ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দশমিক ১২ একর। যার মূল্য ৬০ হাজার টাকা। ১২ হাজার টাকার দশমিক শূন্য ৫ একর জমি। নারায়ণগঞ্জে স্যাভোলা অয়েল লিমিটেডের ১ দশমিক ৩৮৫০ একর জমি ও ২ হাজার বর্গফুটের সেমি পাকা গৃহ যার মূল্য ১২ কোটি ১৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা। ২ একর জমি, মূল্য ৭ কোটি ৭০ লাখ। দশমিক ৩৬৩৬ একর এর মূল্য ১ কোটি ২১ লাখ ১৯ হাজার টাকা। দশমিক ৩৪৬৯ একর, ১ কোটি ১৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। ১ দশমিক ৮২৪৩ একর জমি যার মূল্য ৬ কোটি ৮ লাখ ৯ হাজার টাকা। ৩ দশমিক ৮২৬৪ একর জমির মূল্য ১২ কোটি ৭৫ লাখ ৪৬ হাজার। ২ দশমিক ১৮৮৯ একর। মূল্য ৭ কোটি ২৯ লাখ ৬৩ হাজার। ডেলটা অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড ১ দশমিক ২১৫০ একর এবং ১৫শ বর্গফুটের পাকা গৃহ, যার মূল্য ৭ কোটি ২৯ লাখ ৬৩ হাজার। দশমিক ১৭ একর ও ৫শ বর্গফুটের সেমি পাকা গৃহ। মূল্য ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দশমিক ৩৬৫০ একর যার মূল্য ৭৩ লাখ টাকা৷ ১ দশমিক ৬৩৫০ একর যার মূল্য ৬ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সানম্যান টেক্সটাইল মিলস লি. মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার কেশবপুরে এক দশমিক ৮৯ একর, মূল্য ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ১ দশমিক ৪৬ একর এর মূল্য ২ লাখ ৩৭ হাজার। এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওসমান গনি, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা এলাকার ৯ দশমিক ৪৩ একর জমি। যার মূল্য ১৫৩ কোটি ৬৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ৯ দশমিক ৪৩ একর, মূল্য ৮২ কোটি ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সাইফুল আলমের নিজ নামে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা এলাকায় ২৩ দলিলের ৪ দশমিক ৭০৭ একর জমি। যার মূল্য ৫ লাখ টাকা। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ছেলের কাছ থেকে গুলশানের ২ এর ১০ কাঠা বা ১৬ দশমিক ৫০ শতকের জমি। মূল্য ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ইনহেরেন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড ইমপ্লেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনসারুল ইসলামের ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের তেজতুরি বাজারের ৯০ দশমিক ৮৮ শতাংশ ও ৩ হাজার বর্গফুটের ১ তলা দালান। মূল্য ৫৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। ব্লাইন্ড লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের আহসানুল আলম ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় ১ বিঘা বা ৩৩ শতাংশ জমি। মোট ৫৮ দশমিক ১৬৪৬ একর জমি। যার মূল্য ৩শ ৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫শ টাকা।

    আবেদনে বলা হয়, সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখার অভিযানকালে অনেক সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এ সম্পদ ক্রোকের (জব্দ) আদেশ প্রদান না করা হলে অন্যত্র স্থানান্তরের আশঙ্কা রয়েছে।