পল্লবীতে রয়েছে একাধিক বিহারি ক্যাম্প, বস্তি ও ডুইপের মতো ঘনবসতি। শিক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকা এবং বেকারত্বের কারণে অনেকেই ঝুঁকছেন অবৈধ মাদকব্যবসায়। স্বল্প সময়ে প্রচুর অর্থসম্পদ উপার্জনের এই অবৈধ মাধ্যম আকর্ষণ করছে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও। এভাবেই পুরো পরিবার জড়িয়ে পড়ছে মাদক বিক্রির মতো ভয়াবহ অপরাধে।
এখানে মাসে অন্তত ১০ কোটি টাকার মাদকবাণিজ্য চলে।
অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট মহলের গুটিকয়েক সদস্যকে ম্যানেজ করেই এই ব্যবসা পরিচালিত হয়। গত ৫ আগস্টের পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার পর এই চক্র আরো সক্রিয় হয়ে ওঠে। মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করা হলেও তারা দ্রুত জামিনে এসে পুনরায় একই ব্যবসায় জড়ায়।
পরিবারের একজন জেলে থাকলে অন্য সদস্যরা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে। জানা যায়, খোদ পল্লবী থানার আশপাশে থাকা বস্তি ও ক্যাম্পগুলোকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে অন্তত দুই হালি মাদক স্পট। যার অধিকাংশ থানা ভবনের জানালা থেকেই দেখা যায়।
তার পাশেই বালুর মাঠ বস্তিতে চলছে শারমিনের হেরোইনের স্পট, একই বস্তিতে মাদকসম্রাজ্ঞী পৃথিবীর হেরোইন স্পট। পৃথিবীর বড় হেরোইন স্পট মিল্লাত ক্যাম্পে। এ ছাড়াও বাউনিয়াবাঁধ বস্তিতে ইয়াবাসম্রাজ্ঞী ফতের (ফাতেমা) স্পট। কালসি ২২ তলা গার্মেন্টের আশপাশে বেশ কয়েকটি স্পটের মধ্যে রয়েছে শাহনাজের হিরোইন স্পট। সাংবাদিক প্লটের উল্টোপাশে কাল্লুর গাঁজার স্পট।
মূলত মিল্লাত ক্যাম্প, বাউনিয়াবাঁধ বস্তি, ভাসানটেক বস্তি, বালুর মাঠ বস্তি ও বেগুনটিলা বস্তিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে মাদকে সাম্রাজ্য।
ডিএমপির মিডিয়া শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, পরিবাকেন্দ্রিক মাদকব্যবসা গড়ে ওঠাসহ তাদের ব্যবসার ধরন বিশ্লেষণ করেই পরিকল্পনার মাধ্যমে তা নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণের কর্মকাণ্ড অব্যাহত আছে। মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ বাস্তবায়ন করছি। তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসব। কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।
জানা গেছে, পল্লবীতে যত্রতত্র মাদক স্পট গড়ে উঠলেও এই ব্যবসার অন্তত ৮০ শতাংশই চার পরিবারের নিয়ন্ত্রণে। তাদের মধ্যে কেউ হেরোইন, কেউ ইয়াবা আবার কেউ গাঁজা ব্যবসার হোতা। পল্লবীতে নব্বইয়ের দশকে প্রথম হেরোইনের ব্যবসা শুরু করেন মোস্তাক। অপর তিন পরিবারের মধ্যে রয়েছে ‘ইয়াবাসম্রাজ্ঞী’ ফাতেমা (ফতে), এবং ইয়াবা ব্যবসায়ী ‘ল্যাংড়া’ রুবেল। তবে মোস্তাকের হয়ে মাদক ব্যবসার অন্যতম হোতায় পরিণত হন ‘হেরোইনসম্রাজ্ঞী’ পৃথিবী।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এই ব্যবসায় জড়িত অধিকাংশ সদস্যই নারী। পরিবারের একজন এই ব্যবসা শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে এতে জড়িয়ে পড়েন অন্য সদস্যরাও। এদের মধ্যে অনেকেই আলাদাভাবে গড়ে তোলেন মাদকসাম্রাজ্য।
হেরোইনসম্রাট মোস্তাকের সঙ্গে তার পরিবারের অন্তত দুই ডজন সদস্য মাদকব্যবসায় জড়িত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মোস্তাকের বোন আনোয়ারী, শাকিলা এবং জামিলা। বর্তমানে মোস্তাকের ব্যবসার দেখভাল করে তার ছেলে সুমন ও সায়মন। অন্যদিকে জামিলার ব্যবসার নিয়ন্ত্রণে তার মেয়ে সায়েমা ও শাম্মি এবং আনোয়ারীর পাশাপাশি তার ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছে মেয়েজামাই কামরান। বাবা বাবুল হোসেনের হাত ধরেই মাদকব্যবসায় জড়ান ইয়াবাসম্রাজ্ঞী ফতে। এই ব্যবসায় জড়িত তার পরিবারের অন্তত ৩৬ সদস্য। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফতের ভাই মামুন, ভাই খোকন, দুই ভাবি মনি ও রাবেয়া, ভাগ্নে অনিক, মা হাসিনা বেগম এবং বোন পাপিয়া। এ ছাড়া হেরোইন ব্যবসায়ী পৃথিবীর ব্যবসার সঙ্গে তাদের পরিবারের অন্তত দেড় থেকে দুই ডজন সদস্য রয়েছে।
একাধিক গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, শুধু পল্লবী থানার অধীনেই হেরোইন, ইয়াবা ও গাঁজাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক স্পট। মাদক বিক্রির সঙ্গে যুক্ত হাজারেরও বেশি বিক্রেতা। জানা যায়, বাউনিয়াবাঁধ এলাকায় মাদক সরবরাহ করে শাবু ও পাগলা মামুন। আর মাদকের পাইকারি ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখযোগ্য হলো পাতা সোহেল, সোলেমান, রতন ও আল ইসলাম।
Category: বাংলাদেশ
-

অধরা পল্লবীর মাদক ব্যবসায়ীরা
-

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অর্ধেক সুবিধাভোগীই ভুয়া
পিছিয়ে পড়া মানুষ বা জনগোষ্ঠীকে দেওয়া হয় ভাতা, যা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি নামেই পরিচিত। এ কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেক আগেই। এবার সরকার থেকেও বলা হলো, সুবিধাভোগীদের অর্ধেকই ভুয়া। সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন মোর্শেদ মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেটালে এক সেমিনারে এ তথ্যই জানিয়েছেন।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি নিয়ে সেমিনারটির আয়োজন করে বিশ্ব ব্যাংক। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শারমিন মোর্শেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব মোমতাজ আহমেদ এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিউদ্দিন। বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন, বিশ্বব্যাংকের সামাজিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অভিরুপ সরকার।
সেমিনারে উপদেষ্টা শারমিন মোর্শেদ বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের তথ্যমতে, দেশে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ সুবিধাভোগী ভুয়া। প্রকৃত উপকারভোগী নির্বাচনে আমরা ডিজিটাল পদ্ধতি যুক্ত করছি। ইতোমধ্যেই এমআইএস সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এতে সুবিধাভোগী নির্বাচনে অনিয়ম কমবে। একইসঙ্গে একটি ড্যাসবোর্ড স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি শক্তিশালী মনিটরিং সিস্টেমের বিকল্প নেই। কর্মসূচিগুলোকে উৎপাদনশীল করতেই হবে। তাহলে সরকারি অর্থের প্রকৃত ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
সেমিনারে বক্তারা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিবর্তনের কথা বলেন। পাশাপাশি কর্মসূচিগুলোকে উৎপাদনমুখী করার তাগিত দেন। তারা বলেন, পরিবর্তন এনে কর্মসূচিগুলোকে উৎপাদনমুখী করতে হবে। এ ক্ষেত্রে দিনের পর দিন শুধু আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে না। নগদ টাকার সঙ্গে ‘প্লাস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রশিক্ষণ, লাইফ স্কিল, উৎপাদন বৃদ্ধির নানা কৌশলসহ বিভিন্ন বিষয় শেখানো হবে। যাতে উপকারভোগীরা নিজেরাই স্বাবলম্বী হতে পারেন।
সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দুর্বলতা কমাতে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এক্ষেত্রে ‘নগদ প্লাস’ পরিষেবাগুলোর সঙ্গে নগদভিত্তিক প্রোগ্রামগুলো একত্রিত করতে হবে।
-

ক্ষুদ্র ও মাঝারী (কর্মক্ষেত্র ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান/ওয়ার্কশপ) এর নিকট থেকে আগ্রহ পত্র আহবান
মুসলিম এইড ইউকে বাংলাদেশ ফিল্ড অফিস, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইএসডিবি) সহায়তায় এবং কিং আব্দুল্লাহ হিউম্যানেটারিয়ান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে “বাংলাদেশের ঢাকার মিরপুর, মোহাম্মাদপুর ও নীলফামারির সৈয়দপুরে অতি দরিদ্র বস্তিবাসীদের, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে সমন্বিত পুনর্বাসন কার্যক্রম” নামক পাঁচ (৫) বছর মেয়াদী প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মিরপুর থানা ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান/ওয়ার্কশপসমূহের নিকট হতে নিম্নলিখিত ট্রেডসমূহে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান/ওয়ার্কশপের প্রতিনিধিগণকে আগামী ০২/০২/২০২৫ ইং তারিখ হতে অফিস সময়ে (সকাল ৯.০০ ঘটিকা হতে ৪.০০ ঘটিকা মধ্যে) ফর্ম গ্রহণ করে আগামী ০৬/০২/২০২৫ ইং তারিখ বিকাল ৪.০০ ঘটিকার মধ্যে নিম্নলিখিত ঠিকানায় ফর্মসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করার জন্য আহ্বান করা যাচ্ছে।
এ পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের সাথে একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সম্পন্ন হবে। চুক্তির মেয়াদকাল ৮ মাস (৪ দফায়)।
কোর্সসমূহঃ
১. ড্রেস মেকিং ও ট্রেইলরিং
২. রেফ্রিজারেটর ও এয়ার কন্ডিশনিং
৩. কম্পিউটার অপারেশন
৪. ইন্ডাস্ট্রিয়াল সুইং মেশিন অপারেশন
৫. মোটর সাইকেল সার্ভিসিং
৬. মোবাইল ফোন সার্ভিসিং
আগ্রহ পত্র দাখিলের সংযুক্তি পত্র প্রযোজ্য:
• সাক্ষরিত ফর্ম/কোটেশনের জন্য আহবান পত্র (নিম্নলিখিত ঠিকানা হতে সংগ্রহ করতে হবে)
• কোটেশন বা দরপত্র
• ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, বিন ও ব্যবসায়িক ব্যাংক একাউন্ট
• প্রতিষ্ঠান/ওয়ার্কশপের বিলবোর্ডসহ একটি ছবিমো: আরিফুল ইসলাম, ০১৮৬০-৩২৪৯০৫
মুসলিম এইড ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি
ঠিকানাঃ ব্লক: ই, বাউনিয়াবাঁধ(ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন) মিরপুর ১১, ঢাকা। -

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বিচারবহির্ভূত হত্যা দুর্ভাগ্যজনক: ফখরুল
কুমিল্লার যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামকে সাদা পোশাকধারী লোকেরা ‘নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে হত্যা করেছে’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।একই সঙ্গে সরকার ও প্রশাসনে ঘাপটি মারা আওয়ামী দোসররা এই ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা- তার অনুসন্ধান করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যা দুর্ভাগ্যজনক। এই নির্মমতা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলকেই মনে করিয়ে দেয়।
শনিবার এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কুমিল্লা জেলাধীন সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলামকে সাদা পোশাকধারী লোকেরা বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে তাকে হত্যা করে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যা দুর্ভাগ্যজনক। এই বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনায় দেশবাসী হতবাক হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জনমনে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার ও প্রশাসনে আওয়ামী দোসরদের ঘাপটি মেরে থেকে রক্তাক্ত ঘটনা ঘটানো হচ্ছে কিনা- সেটি নিয়ে গভীর অনুসন্ধান জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘কোনো সরকারি বাহিনীই আইন হাতে তুলে নিতে পারে না। অপরাধ সংঘটনকারী যতই শক্তিশালী হোক, তাকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া আইনের শাসনের অন্যতম শর্ত। কিন্তু তাকে কখনোই বিচারবহির্ভূতভাবে নির্যাতন করে হত্যা করার কোনো অধিকার সরকারি বাহিনীগুলোর নেই। আমি তৌহিদুল ইসলামকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাই।’
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কুমিল্লার যুবনেতার ওপর এই নির্মমতা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলকেই মনে করিয়ে দেয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার হলো- গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যা থেকে জাতিকে মুক্তি দেওয়া, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ভয়ভীতি থেকে দেশবাসীকে নিরাপদ রাখা।কিন্তু আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের যদি পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে আবারো দেশে নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে আসবে। মানুষ এক অজানা আশঙ্কায় দিনাতিপাত করবে। বেআইনি হত্যা করে কখনোই সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা যায় না, এতে আইনের শাসনকে চরমভাবে অবজ্ঞা করা হয় এবং দেশকে ঠেলে দেওয়া হয় আদিম অন্ধকারের দিকে।’
বিবৃতিতে তৌহিদুল ইসলামের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জ্ঞাপন করেন বিএনপি মহাসচিব।