Category: জীবনযাপন

  • সুখবর দিল মেট্রোরেল

    সুখবর দিল মেট্রোরেল

    সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে শুক্রবার অর্ধবেলা চলাচল করত মেট্রোরেল। তবে আগামী মে মাস থেকে শুক্রবার সকাল থেকেই মেট্রোরেল চালানোর পরিকল্পনা করছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

    মঙ্গলবার উত্তরায় মেট্রো রেলের ডিপোতে রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের (আরআরআর) সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় এ কথা জানান তিনি।

    তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি মেট্রো রেলের ফ্রিকোয়েন্সি মে মাসের মধ্যে সহনীয় মাত্রায় আনা যায় কি না।এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। উপদেষ্টা মহোদয়ের নির্দেশনা রয়েছে। মে মাসকে আমরা টার্গেট করেছি। আশা করছি, মে মাসের মধ্যে গুছিয়ে ফেলতে পারব।’

    ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঢাকাবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘মেট্রো রেলের পিলারে গ্রাফিতি একসেপটেড। গ্রাফিতে আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। এটি আমাদের পরিবর্তনের সহায়তা করেছে। কিন্তু মনের আনন্দে এখন অনেকে পোস্টার লাগাচ্ছে। ঢাকা শহরের দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সিটি করপোরেশন ও পুলিশকে চিঠি দিচ্ছি। আমাদের যে অ্যাকশন, সেটা আমরা নেব।’

  • পাসপোর্টে থাকছে না পুলিশ ভেরিফিকেশন

    পাসপোর্টে থাকছে না পুলিশ ভেরিফিকেশন

    পাসপোর্ট ইস্যু ও নবায়নের ক্ষেত্রে এখন থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক থাকছে না।মঙ্গলবার এ তথ্য জানা যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্রে।

    এর আগে পাসপোর্ট সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গণির সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    পাসপোর্টের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন পাসপোর্ট ইস্যুর মূল ভিত্তি ধরা হয়। এ দুটি সঠিক থাকলে পাসপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকার কথা নয়- উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এমন মতামত উঠে আসার পরই এ নিয়ে কাজ শুরু করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, এ বিষয়ে সভায় অনেকটা এগিয়ে গেছে। পরবর্তীতে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সভায় বেশিরভাগ প্রতিনিধি পাসপোর্টে ভেরিফিকেশন উঠানোর বিষয়ে মত দিয়েছেন।

    জানা গেছে, সভায় পাসপোর্ট জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়। উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশনার আলোকে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হবে। সভায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পুলিশের বিশেষ শাখাসহ অন্যান্য বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সচিব সাইফুল্লাহ পান্না, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব শেখ আবু তাহের, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সচিব, মো. রুহুল আমিন, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নূরুল আনোয়ার, মোহাম্মদ নুরুল, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), এ এস এম হুমায়ুন কবীর, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর যুগ্ম-পরিচালক, মো. জিয়াউল কাদের, অতিরিক্ত সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ রেজিস্ট্রার জেনারেল, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, মো. যাহিদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, গোলাম রসূল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উপসচিব আমিন আল পারভেজ, বিশেষ পুলিশ সুপার, (এসবি) হায়াতুন্নবী, বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন শীর্ষক প্রকল্প পরিচালক, মো. সাইদুর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাফি প্রমুখ।

  • ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: র‌্যাব মহাপরিচালক

    ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: র‌্যাব মহাপরিচালক

    র‌্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি নেই। দুপক্ষের অন্তঃকোন্দল ছাড়া আপাতত অন্যকোনো ঝুঁকি আমরা দেখছি না। ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তায়, যে ধরণের ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার তার সবগুলোই ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন শেষে র‌্যাবের কন্ট্রোলরুমে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

    র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় র্যাবের ফুট পেট্রোল, গাড়ি ও মোটরসাইকেল টহল, স্ট্রাইকিং ফোর্স, রিজার্ভ ফোর্স, ড্রোন পর্যবেক্ষক দল, ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় সিসি টিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। এছাড়া নদী পথেও র্যাবের নৌ-টহল রয়েছে।

    তিনি বলেন, ইজতেমাকে ঘিরে ছোটখাটো কিছু অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে। বিষয়টি মাথায় রেখে র‌্যাব, সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা ময়দানের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।

    তিনি আরও বলেন, ইজতেমা উপলক্ষে টঙ্গীতে দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লির সমাগম ঘটে। এতে মোবাইল চুরি, ছিনতাইকারি, মলম পার্টি, মাদকাসক্ত, উচ্ছশৃঙ্খলতা ও পকেটমারদের দমাতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

    এ সময় র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ জাহিদুল করিমসহ র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    আগামীকাল শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্ব।

  • চাকরি ফিরে পেতে সচিবালয়ের দিকে যাচ্ছেন চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা

    চাকরি ফিরে পেতে সচিবালয়ের দিকে যাচ্ছেন চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা

    আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের পুনর্বহালের দাবিতে তারা আবারও আন্দোলনে নেমেছেন।

    বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তারা একটি পদযাত্রা বের করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে তাদের পদযাত্রাটি সচিবালয়ের দিকে যাচ্ছে।

    সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশ পরিবারে প্রায় ২২০০ জন সদস্য এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে এই সদস্যরা আন্দোলন করছেন। তাদের হাতে বিভিন্ন ব্যানার রয়েছে। তারা পদযাত্রা থেকে সরকারের উদ্দেশ্যে দাবি জানাচ্ছেন, তাদের যেন দ্রুত চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। চাকরি ফিরে পেতে নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা।

    আন্দোলনে অংশ নেওয়া এসআই পদমর্যাদার এক পুলিশ সদস্য বলেন, আমরা তো কোনো অন্যায় করিনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও পুলিশের আলোচিত বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার রোশনালে পরে অন্যায়ভাবে আমাদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখনতো তারা নেই তাহলে আমাদের কেন চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না।

    আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরেক চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য বলেন, আমরা গত ছয় মাস ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমরা যখন শুরুতে আন্দোলন করেছিলাম তখন আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছি এবং আমাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরি। পরে আমরা সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে দেখা করি। তিনি আমাদের কাগজপত্র দেখেন বলেন আমাদের দাবি যৌক্তিক এবং বলেন আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তিনি তখন বলেছেন আন্দোলনরতদের মধ্যে প্রায় ৯৮ শতাংশের চাকরি ফিরিয়ে দেবেন। উনার সে আশ্বাসে আমরা আন্দোলন স্থগিত করি। কিন্তু একে একে দিন পার হতে থাকে কিন্তু আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। তাই আমরা আবারো আন্দোলনে নেমেছি আমাদের চাকরি ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন স্থগিত করব না।

  • বায়ু দূষণে বিশ্বে ঢাকা দ্বিতীয়

    বায়ু দূষণে বিশ্বে ঢাকা দ্বিতীয়

    আজ সকালেই ঢাকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর। বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি।

    বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এই সময়ে ঢাকার বায়ুর মান স্কোর ছিল ২৬৭।

    তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা দিল্লির বায়ুর মানের স্কোর ৩২৮! অর্থাৎ সেখানকার বায়ু ‘দুর্যোগপূর্ণ বা বিপজ্জনক’ পর্যায়ে রয়েছে। তিনে রয়েছে উগান্ডার রাজধানী কাম্ফালা। সেখানকার বায়ুমান ১৯৪ অর্থাৎ অস্বাস্থ্যকর। চারে থাকা ইরানের রাজধানী তেহরানের বায়ুমান ১৮৩, অর্থাৎ খুব অস্বাস্থ্যকর। পাঁচে থাকা ভিয়েতনামের হানোইয়ের বায়ুমান ১৮১।

    দূষিত শহরের তালিকার ছয়ে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, সাতে চীনের চংকিং, আটে নেপালের কাঠমাণ্ডু, নয়ে চীনের চেংডু ও দশে রয়েছে মিশরের রাজধানী কায়রো।

    প্রসঙ্গত, বায়ুমান ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১ বা তার বেশি একিউআই স্কোরকে ‘দূর্যোগপূর্ণ বা বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

  • ইতিহাসে চির অম্লান ড্রাগন গ্রুপের কর্ণধার মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস

    ইতিহাসে চির অম্লান ড্রাগন গ্রুপের কর্ণধার মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস

    বাংলাদেশের শিল্প ও আর্থিক খাতের অগ্রগণ্য ব্যক্তিত্ব মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস আর নেই। গত শনিবার ভোরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ১৯৪৯ সালের ৪ মার্চ কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
    মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস একাধারে ছিলেন একজন অগ্রপথিক, দূরদর্শী নেতা এবং প্রকৃত দেশপ্রেমিক। তিনি ড্রাগন গ্রুপ এবং রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা।

    দেশের সোয়েটার শিল্পের জনক হিসেবে পরিচিত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস বাংলাদেশের অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন, যা লাখ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। একজন মুক্তিযোদ্ধা ও নিবেদিত দেশপ্রেমিক হিসেবে তিনি বাংলাদেশের উন্নতি ও মানুষের কল্যাণে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গ করেছিলেন।

    গোলাম কুদ্দুসের প্রথম জানাজা গুলশান আজাদ মসজিদে বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হয়। এর পরে দ্বিতীয় জানাজা মরহুমের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর চৌদ্দগ্রামের মিয়া বাজারে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। ক্ষণজন্মা শিল্পোদ্যোক্তা দেশের শিল্প, কর্মসংস্থান তথা দেশের উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। কর্মসংস্থানমুখী শিল্পায়নের কারণে দেশের মানুষের কাছে আজীবন শ্রদ্ধার আসনে থাকবেন মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস । চৌকশ এ ব্যবসায়ী তার মেধা, দক্ষতা, পরিশ্রম ও সাহসিকতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন ‘ড্রাগন গ্রুপ’। এই গ্রুপের অধীন তিনি অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন ; যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের।

    আস্থার জায়গায় অটুট থাকায় মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের ব্যবসায়িক পারদর্শিতার প্রমাণ পাওয়া যায়। ড্রাগন গ্রুপ, সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স, রুপালী ইন্সুরেন্স-এর মতো ব্র্যান্ড তৈরি করেছেন তিনি। প্রতিষ্ঠাতা করেছেন স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন চ্যারিটি ফাউন্ডেশন। মিয়াবাজার বাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে তার হাতে। ইউনিয়ন পরিষদের জন্য নিজের ব্যক্তিগত সম্পদ দান করে উজিরপুরবাসীর স্বপ্নপূরন করেছেন তিনি।

    দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মানুষের কর্মসংস্থান তৈরিতে নুরুল ইসলাম একজন আধুনিক চিন্তার সাহসী উদ্যোক্তা। ড্রাগন স্যুয়েটার এর মতো সুবিশাল গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠা করে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে তাকে।
    দেশের অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখায় বেশ কয়েকবার সিআইপি পদকে ভূষিত হন মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। দেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ-র টানা দু’বারের সফল সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। দেশী-বিদেশেী বিভিন্ন সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে দেশের জন্য বয়ে এনেছেন সুনাম আর সুখ্যাতি।
    মিয়াবাজারবাসীর স্বপ্ন পূরনে করেছেন অত্যাধুনিক মিয়াবাজার মসজিদ মার্কেট ও শপিং কমপ্লেক্স।
    এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের জন্য সৃষ্টি করেছেন নিজ এলাকায় বিশাল গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী। যেখানে কাজ করছে হাজার হাজার শ্রমিক।

    ব্যবসা-বাণিজ্যে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস যে চৌকশ ছিলেন, তা তার প্রতিষ্ঠিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বৈচিত্রময় পর্যালোচনা করলেই এর প্রমাণ মেলে। দেশের ৪র্থ প্রজন্মের জীবন-বীমা সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স তার উজ্জল দৃষ্টান্ত।
    এলাকারজন্য তার অনেক পরিকল্পনা ছিল। আমি আশা করব, তার ছেলেমেয়েরা ওনার এই উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করবেন। একই সঙ্গে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস-এর উত্তরসূরিরা মিয়াবাজরে চলমান শিল্পাঞ্চল তৈরির কাজটিও সম্পন্ন করবেন, যেখানে আরও কর্মসংস্থান হবে। দেশের উন্নয়নে ড্রাগন গ্রুপের অবদান আরও বাড়বে-এমন প্রত্যাশা রেখে দেশের এই কৃতী শিল্পপতির মৃত্যুতে গভীর শোক ও শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

    আকতার হোসেন সাদ্দাম
    সম্পাদক ও প্রকাশক
    আলোকিত ঢাকা

  • বিক্রি বন্ধ তবুও ওরা ট্রাকসেলের সামনে

    বিক্রি বন্ধ তবুও ওরা ট্রাকসেলের সামনে

    নিত্যপণ্যের বাড়তি দরে অসহায় ভোক্তা। চাল-ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, মাছ-মাংস, সবজিসহ সব পণ্যই বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে বাজারে গিয়ে মানুষের হিমশিম অবস্থা। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে ভোজ্য তেল, চিনি, মসুর ডাল ও পেঁয়াজ ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করে আসছিল ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে তা বন্ধ। কিন্তু বহু সাধারণ মানুষকে এখনো নির্ধারিত স্থানে ট্রাকসেলের সামনে দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে দেখা যাচ্ছে। বিক্রি বন্ধের বিষয়টি এক পর্যায়ে জানার পর হতাশ হয়ে ফিরে যেতে দেখা যাচ্ছে। রমজান সামনে রেখে ১০ মার্চ থেকে ফের টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য বিক্রি শুরু হবে। রমজানে এক কোটি মানুষের হাতে ন্যায্যমূল্যে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার টার্গেট রয়েছে সরকারের। ট্রাকসেলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা বলেন, নিত্যপণ্যের অসহনীয় দাম, তাই টিসিবির পণ্যই এখন আমাদের কাছে ‘স্বর্গের আহার’।

    টিসিবি বলছে, অষ্টম দফায় ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টিসিবি পণ্য বিক্রি করেছে। ১০ মার্চ থেকে রোজা উপলক্ষ্যে আবার বিক্রি শুরু হবে। চলবে ২৬ রমজান পর্যন্ত। রোজায় এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল, চিনি, পেঁয়াজ ও খেজুর পৌঁছে দেওয়া হবে। আর প্রথম রমজান থেকে বিক্রি করা হবে ছোলা। ইউনিয়ন পর্যায়েও এসব পণ্য পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে তেল, চিনি, ডাল ও ছোলা সারা দেশে বিক্রি হলেও ঢাকায় এসবের সঙ্গে বিক্রি হবে পেঁয়াজ ও খেজুর। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সবুজবাগ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশে লাইন ধরে বসে আছেন বেশ কয়েকজন। তারা সবাই টিসিবির ট্রাকের অপেক্ষায়। নিয়মিত বিরতি দিয়ে একে একে যুক্ত হয়েছেন আরও অনেকে। কিন্তু ট্রাক আসছে না। ট্রাকের দেখা না পেয়ে অনেককে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায়। কথা হয় ফজিলা বেগমের (৪৮) সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, এখানে বাজারের চেয়ে কম দামে সয়াবিন তেল, ডাল, পেঁয়াজ ও চিনি পাওয়া যায়। তাই এসেছি। বাজারের পণ্য কেনার সামর্থ্য নেই। টিসিবির পণ্য এখন আমাদের কাছে ‘স্বর্গের আহার’। প্রতিবেদকের কাছে টিসিবির পণ্য বিক্রি আপাতত বন্ধের কথা জানার পর তিনি বলেন, ভাই আমরা তো আর জানি না। আমরা এসে ট্রাকের জন্য অপেক্ষা করছি। ফজিলা বেগমের কথা শেষ হতে না হতেই সামনে এসে মোসাম্মত ফাতেমা (৪৫) বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আয় তেমন একটা নেই। কিন্তু বাজারে সব ধরনের জিনিসের দাম অনেক বেশি। এক কেজি চাল কিনতে ৫০ টাকার ওপরে খরচ হয়। তেলের দাম ১৮০ টাকা লিটার। কিন্তু এখানে ১১০ টাকায় পাওয়া যায়। পাশাপাশি প্রতি কেজি ডাল কিনতে বাজারে ১১০-১২০ টাকা লাগে; কিন্তু ট্রাকে ৬৫ টাকায় পাওয়া যায়। তাছাড়া প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা ও পেঁয়াজ ৩০ টাকায় পাওয়া যায়। তাই আমাদের কাছে এই পণ্যের মূল্য অনেক। যুদ্ধ করে টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে হয়। অনেক সময় লাইনে দাঁড়িয়েও পাওয়া যায় না। যখন পাওয়া যায়, তখন ‘স্বর্গের আহারের’ মতোই লাগে। কিন্তু দুদিন ধরে ট্রাক আসছে না। মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব ও মতিঝিল এলাকায়ও টিসিবির বিক্রয় স্থানে অনেককেই ট্রাকের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

    বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, আমরা রমজান উপলক্ষ্যে এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপণ্য পৌঁছে দিতে চাই। এজন্য দুই দফায় পণ্য বিক্রি করা হবে। প্রথম দফায় ১০ মার্চ থেকে তেল, চিনি, পেঁয়াজ ও ডাল বিক্রি করা হবে। দ্বিতীয় দফায় প্রথম রমজান থেকে ছোলা বিক্রি শুরু করব। আর এই বিক্রি কার্যক্রম ২৬ রমজান পর্যন্ত চলবে। তিনি জানান, ইতোমধ্যে এক কোটি পরিবারের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যে ৫০ লাখ পরিবারের তালিকা করা হয়েছে, সেখান থেকে ৩০ লাখ পরিবারকে বাছাই করা হয়েছে। বাকি ৭০ লাখ পরিবারের তালিকা জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং সিটি করপোরেশন প্রস্তুত করছে। সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে-রমজানজুড়ে অসহায় দরিদ্র মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য পৌঁছে দেওয়া। যাতে তারা স্বস্তিতে রমজান ও ঈদ উদ্যাপন করতে পারেন। এক কোটি পরিবারকে পণ্য দিতে পারলে দেশের অন্তত পাঁচ কোটি মানুষ উপকৃত হবে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এবার রোজায় অসহায় দরিদ্র মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই কার্যক্রমে যাতে কোনো ধরনের কালোবাজারি না হয়, সেদিকে তদারকি করা হবে। কারণ টিসিবি অসহায় মানুষের জন্য ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করবে। আর এই কার্যক্রমে কেউ অসাধু পন্থার চিন্তা করলে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

  • ছোট হয়ে গেছে পরোটা, কমেছে চায়ে চিনি

    ছোট হয়ে গেছে পরোটা, কমেছে চায়ে চিনি

    হঠাৎ করেই ছোট হয়ে গেছে হোটেল রেস্তোরার পরোটার আকার। সড়কের মোড় আর অলিগলির টং দোকানগুলোয় মিলছেনা চায়ের সঙ্গে প্রয়োজন মতো চিনি। কিছুটা বিলাসী হোটেল রেস্তোরাগুলো এরইমধ্যে বাড়িয়ে দিয়েছে খাদ্য দ্রব্যের দাম।

    মূল্য বৃদ্ধি করলে কাস্টমার হারানোর আশংকায় থাকা ছোট হোটেলগুলো নিয়েছে ভিন্ন পদ্ধতি। গ্রাহককে দেয়া খাবারের পরিমাণ কমিয়ে চলছে টিকে থাকার চেষ্টা। ভোজ্য তেলসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এভাবেই এখন যে যার মতো করছে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। কেবল হোটেল রেস্তোরা নয়, মধ্য ও নিম্নবিত্তের ঘরেও শুরু হয়েছে কৃচ্ছতা সাধন। পরিমাণে কম খেয়ে কিংবা তেল মসলার কম ব্যবহারে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সমতা রক্ষার চেষ্টা করছেন সবাই।

    কম আয়ের মানুষেরা সাধারণত দুটি পরোটা আর ১০ টাকার সবজি দিয়েই সেরে নেন সকালের নাস্তা। তেল ডালের মূল্য বৃদ্ধির জেরে সেই পরোটা সবজি-ও হয়ে উঠছে দুষ্প্রাপ্য। ছোট হোটেলগুলোতে ৫ টাকা করে বিক্রি হয় একেকটি পরোটা। এখন পর্যন্ত এই দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ছোট হয়ে গেছে পরোটার আকার।

    বুধবার সকালে নগরীর বটতলা বাজার সংলগ্ন একটি রেস্তোরায় গিয়ে চোখে পড়ে এই দৃশ্য। যে আকারের পরোটা এখন তৈরি হচ্ছে তাতে বর্তমানের দুটি মেলালেও হবে না আগের একটির সমান। পরোটার সাইজ ছোট হওয়াই শুধু নয়, কমেছে ১০ টাকার সবজির পরিমাণও। দিন দুয়েক আগেও ১০ টাকায় যে টুকু সবজি মিলত; এখন কমে হয়ে গেছে অর্ধেক।

    অনেকটা রসিকতার সুরে নাস্তা করতে আসা এনজিও কর্মী পলাশ তালুকদার বলেন, যে সাইজের পরোটা খাচ্ছি তাতে এই টুকু সবজির বেশি লাগেও না।

    হোটেলের মালিক রায়হান মুন্সি বলেন, এছাড়া তো কোনো উপায় নেই। জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে পরোটা ছোট আর সবজি কম দিয়েও তো টিকতে পারছি না। এমনকি ক্রেতার চাহিদামত চিনি পর্যন্ত দিতে পারছিনা চায়ে। ৪৮ টাকা কেজির চিনি কিনতে হচ্ছে ৭৮ টাকায়। আগে কাস্টমাররা এক কাপ চায়ে ৩/৪ চামচ পর্যন্ত চিনি নিত। এখন ২ চামচের বেশি দিতে পারি না।

    এতো গেল নিম্ন আর মধ্যবিত্তের টং হোটেলে নাস্তার কাহিনী। খানিকটা ভালো মানের হোটেল রেস্তোরাগুলোতেও পড়েছে মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব। ফলপট্টি এলাকায় থাকা আকাশ হোটেলের মালিক নূরুল ইসলাম বলেন, ‘২৮০ টাকা কেজি দরের চা পাতা এখন ৪শ টাকা। ৩ হাজার ৬শ টাকার ৪৫ কেজি এলপি গ্যাস কিনতে হয় ৪ হাজার ৪শ টাকায়, ৫৭ টাকা কেজি দরের মিনিকেট চাল ৬৭ টাকা। অথচ আমরা হোটেল মালিকরা এখনো খাদ্যের মূল্য রাখছি প্রায় আড়াই বছর আগে নির্ধারণ হওয়া রেটে। কয়েকদিন আগেও যে সয়াবিন প্রতি লিটার কিনেছি ১৪৮ টাকায় এখন তা ২শ টাকাও মিলছে না। এভাবে চললে হোটেল ব্যবসা করে লাভ তো দূরের কথা, জমি বাড়ি বিক্রি করে পাওনা মেটাতে হবে।

    গির্জা মহল্লা এলাকার একটি খাবার হোটেলের ম্যানেজার বলেন, মূল্য বৃদ্ধির কারণে গত কয়েকদিন ধরেই লোকসান হচ্ছে। দামও বাড়াতে পারছি না। খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে চলছে টিকে থাকার চেষ্টা। যেমন ধরুন আগে যেখানে ৫ পিস মাংস দিতাম সেখানে এখন দিচ্ছি ৪ পিস। অন্যান্য খাবারও পরিমাণে কম দেয়া হচ্ছে।

    ফকিরবাড়ি সড়কের খাবার হোটেল রাঁধুনির মালিক নওশের আলী বিটু বলেন, লোকসান দিয়ে তো আর ব্যবসা করা যাবে না, ভাবছি খাবারের দাম বাড়িয়ে দেব। আগে দিনে ২০ হাজার টাকা বিক্রি হলেও ২ হাজার লাভ থাকতো, মঙ্গলবার ৩৫ হাজার টাকা বিক্রির পরও ১ হাজার ৭শ টাকা লোকসান হয়েছে।

    হোটেল রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি সভাপতি বিশ্বজিত ঘোষ বলেন, নগরে ১শর বেশি সরকার অনুমোদিত হোটেল রেস্তোরা রয়েছে। পরিস্থিতি যা তাতে অনেক হোটেলই বন্ধ হওয়ার যোগাড়। ২-১ দিনের মধ্যেই বসবো আমরা। হয় দাম বাড়াতে হবে নয়তো পরিমাণে কম দিয়ে টিকে থাকতে হবে আমাদের।

    হোটেল রেস্তোরার মতোই টিকে থাকার লড়াই শুরু হয়েছে ঘরে ঘরে। একদিকে যেমন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে টিসিবির খোলা বাজারে পণ্য বিক্রির ট্রাকের সামনে মানুষের লাইন তেমনি সম্মান বাঁচাতে সেখানে যেতে না পারা মধ্যবিত্তের ঘরে চলছে কম খেয়ে বাঁচার চেষ্টা।

    নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সর চাকরি করা আয়শা আকতার (ছদ্মনাম) বলেন, বেতন পাই ১৫ হাজার। তারমধ্যে ৭ হাজার যায় বাসা ভাড়ায়। মোটা চালের কেজিও ৫৫ টাকা। স্বামী নেই। ২ ছেলে স্কুলে পড়ে। এখন আপনিই বলুন ৮ হাজার টাকা দিয়ে কি করবো ? এতদিন তাও টেনে টুনে চলেছি। এখন তো চলাই দায়। বাধ্য হয়ে এখন ছেলেদের নিয়ে দুই বেলা রুটি আর এক বেলা ভাত খাচ্ছি।

    ওষুধ কোম্পানির চাকুরে জাহাঙ্গীর কবির বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ২শ টাকা লিটার দরে সয়াবিন তেল কিনছি। ২৮ বালাম চালের দাম প্রতি কেজি ৬৪ টাকা। দাম বাড়েনি এমন কোন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নেই। আগে ১ লিটার তেলে ৩ দিন রান্না হত। এখন স্ত্রীকে বলেছি যে কোনোভাবেই হোক ৫ দিন চালিয়ে নিতে।

    রায়পাশা কড়াপুরের বাসিন্দা গাড়িচালক নূরুল ইসলাম বলেন, ১৫ হাজার টাকা বেতনে ৫ খানেওয়ালার সংসার কি করে চলছে তার খবর কেউ জানে না। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ডিউটি। টিসিবির ট্রাক থেকে যে কম দামে তেল ডাল চিনি কিনবো তারওতো উপায় নেই।

    পুলিশ লাইন রোডের রাজমিস্ত্রি হারুন হাওলাদার বলেন, যে পরিমাণ চাল ডালে আগে মাস যেত তাই দিয়েই এখন আরও অন্তত ৮-১০ দিন বেশি চলার চেষ্টা করছি। এটা করতে গিয়ে প্রতিদিনের নিয়মিত খাবারে কমতি হচ্ছে।

    বরিশাল নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব ডা. মিজানুর রহমান বলেন, কেবল নিম্ন আর মধ্যবিত্ত নয়, উচ্চবিত্তের বাজারেও কিন্তু এখন টান পড়েছে। পণ্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির এই আকাশ ছোঁয়া পরিস্থিতি এর আগে আর কখনো দেখেনি কেউ। এমনিতেই করোনার ছোবলে বিপর্যস্ত মানুষ। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন করে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে এখন টিকে থাকাই মুশকিল। আমি মনে করি সরকারের উচিত সব ধরনের নিত্য পণ্য টিসিবির মাধ্যমে খোলা বাজারে বিক্রি করা। একইসঙ্গে পণ্যের পরিমাণ এবং ট্রাকের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। দিনভর লাইনে দাড়িয়ে থেকেও পণ্য না পেয়ে ফিরে যাওয়ার ঘটনা অহরহ ঘটছে। সবাই যাতে পণ্য পায় সেটা নিশ্চিত করা এখন সবচেয়ে জরুরি।

  • ফের দাম বাড়লো এলপিজি সিলিন্ডার-অটোগ্যাসের

    ফের দাম বাড়লো এলপিজি সিলিন্ডার-অটোগ্যাসের

    আবারও দাম বেড়েছে এলপিজি সিলিন্ডার ও অটোগ্যাসের। ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ২৫৯ টাকা থেকে বেড়ে এক হাজার ৩১৩ টাকা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) থেকেই এ দাম কার্যকর হচ্ছে।

    রাজধানীর কাওরান বাজারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই দাম ঘোষণা করা হয়।

    এর আগে গত মাসে এলপিজি মুসকসহ প্রতিকেজি ৮৬ টাকা ৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০৪ দশমিক ৯২ টাকা করেছিল বিইআরসি। এর ফলে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম অক্টোবর মাসে এক হাজার ৩৩ টাকা থেকে বেড়ে এক হাজার ২৫৯ টাকা হয়; ১০ অক্টোবর থেকে এই দাম কার্যকর করা হয়।

    গত ২৯ জুলাই ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ ৮৯১ থেকে ১০২ টাকা বাড়িয়ে ৯৯৩ টাকা করা হয়। আগস্ট মাস থেকে এই দাম কার্যকর হয়।

    বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় বাংলাদেশেও দাম বাড়ানো হয়েছে বলে প্রতিবারই জানায় বিইআরসি।

    এদিকে বৃহস্পতিবার বিইআরসির সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেসরকারি পর্যায়ে নভেম্বর মাসের জন্য এলপিজি মুসকসহ প্রতিকেজি ১০৪ দশমিক ৯২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৯ টাকা ৪২ পয়সা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে পরিবহনে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের দামও, যা অটোগ্যাস নামে প্রচলিত। নভেম্বর মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৫৮ দশমিক ৬৮ থেকে বাড়িয়ে ৬১ টাকা ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। লিটারে বেড়েছে প্রায় ২ টাকা ৫০ পয়সা। অক্টোবরেই বেড়েছিল ৮ টাকা ১২ পয়সা।

    সৌদি সিপি অনুসারে সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম যথাক্রমে প্রতি টন ৮৭০ এবং ৮৩০ ডলার, মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় নভেম্বরে জন্য এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে; যা অক্টোবরে ছিল যথাক্রমে প্রতি টন ৮০০ ডলার এবং ৭৯৫ ডলার।

    সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সচিব রুবিনা ফেরদৌসী, সদস্য মকবুল ই ইলাহি, আবু ফারুকসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

  • মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে যে খাবারগুলো

    মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে যে খাবারগুলো

    আপনি দেখতে যতই সুন্দর ও আকর্ষণীয় হন না কেন, যদি আপনার মুখে দুর্গন্ধ থাকে তবে সবাই আপনার কাছ থেকে দুরেই থাকবে। মুখে অস্বাভাবিক খারাপ গন্ধ কাছের মানুষকেও দূরে ঠেলে দেয়। যদিও এমন ঘটনা কাঙ্ক্ষিত নয়। কিন্তু বহু মানুষের জীবনে এমন ঘটনা বারংবার ঘটে থাকে।

    অনেকেই হয়তো জানেন না, এমন পাঁচটি খাবার আছে যা মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। তাই মুখের গন্ধ থেকে বাঁচতে প্রাথমিক ভাবে এই পাঁচটি খাবার এড়িয়ে চলাই উত্তম।

    চলুন জেনে নেয়া যাক যে খাবারগুলো মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে-

    রসুন

    রসুনে রয়েছে সালফার কম্পাউন্ড এই কারণে তা কটু গন্ধ যুক্ত। রসুন খেলে দীর্ঘক্ষন মুখে গন্ধ থাকবে এমনটাই স্বাভাবিক। রসুনে অ্যালাইল মিথাইলসালফেট বলে এটি কমপাউন্ড থাকে যা হজম হয়না। এর তীব্র দুর্গন্ধ অস্বস্তিতে ফেলতে পারে আপনাকে।

    পেঁয়াজ

    পেঁয়াজ, রসুন একই প্রজাতির অন্তর্গত। ঠিক রসুনের মতো এখানে সালফিউরিক কম্পাউন্ড থাকে। সেই কারণেই কাঁচা পেঁয়াজ খেলে মুখে গন্ধ হয়। ভালো করে পেঁয়াজ সাতলালে তার কটু গন্ধটা উবে যায়।

    দুগ্ধজাত পণ্য

    দুধ-পনির অনেক সময় মুখে গন্ধের কারণ হয়। তার মূল কারণ এই খাবারে যে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে তা আমাদের মুখগহ্বরে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া দ্বারা জারিত হয়। এবং সালফার কমপাউন্ড তৈরি করে যা অতি দুর্গন্ধযুক্ত।

    কফি

    অনেকেই আছেন যারা সারাদিন বারংবার বেশ কয়েক কাপ কফি খান। কফি বিন দুর্গন্ধের প্রধান কারণ। সালফার কমপাউন্ড থাকে। ক্যাফেইন যা মুখে শুষ্ক হয়ে ব্যাকটেরিয়া বাড়তে সাহায্য করে। আর এই কারণেই মুখে দুর্গন্ধ হয়।

    মাছ-মাংস

    আমাদের পাকস্থলীতে থাকা অ্যাসিড এবং কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া মাছ এবং মাংসের প্রোটিন অ্যামাইনো অ্যাসিডে ভেঙে ফেলে। এক্ষেত্রে বাইপ্রডাক্ট হিসেবে উৎপন্ন হয় অয়ামোনিয়া। অ্যামোনিয়া একটি দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস। ক্রমে অ্যামোনিয়া রক্তে মিশে যায় এবং ক্রমেই তা ফুসফুসেও ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। কাজেই মাছ-মাংস খেলে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে।