Category: আন্তর্জাতিক

  • ধর্ষণ মামলায় কংগ্রেসের এমপি গ্রেফতার

    ধর্ষণ মামলায় কংগ্রেসের এমপি গ্রেফতার

    ভারতের উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরের কংগ্রেসের সংসদ সদস্য রাকেশ রাঠোরকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

    এলাহাবাদ হাইকোর্টের লাখনৌ বেঞ্চ রাঠোরের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করার একদিন পর এই ঘটনা ঘটল।

    পরে, সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সাথে আলাপকালে রাঠোর বলেন, ‘হাইকোর্ট আমাকে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করার জন্য ২ সপ্তাহের সময় দিয়েছে। তাই, আমি এই বিষয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করছি। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমি জনগণের আদালত এবং আইন আদালতে ন্যায়বিচার পাব। ’

    তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন, তাই এ বিষয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। ’

    প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, লাখনৌ বেঞ্চ রাঠোরকে নিয়মিত জামিনের জন্য ট্রায়াল কোর্টে আত্মসমর্পণের জন্য দুই সপ্তাহের সময় মঞ্জুর করেছিল।

    গত ১৭ জানুয়ারি এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এক নারী। তার অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত চার বছর ধরে তাকে

    যৌন নির্যাতন করে আসছেন রাঠোর। ভুক্তভোগী ওই নারী উত্তর প্রদেশ পুলিশকে ফোনের বিস্তারিত তথ্য এবং কল রেকর্ডিং দেন।

    এরপর ২২ জানুয়ারি ওই নারীর স্বামী পাঁচজনের বিরুদ্ধে পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন। এতে বলা হয়, রাঠোর এবং তার ছেলে মামলাটি মিটিয়ে দেওয়ার জন্য পরিবারকে চাপ দিচ্ছেন।

  • বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে?

    বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে?

    বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবছর একটি তালিকা প্রকাশ করে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার। ২০২৫ সালেও বিশ্বের শীর্ষ ১৪৫টি দেশের সামরিক শক্তির র‌্যাংকিং প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। চমকপ্রদ বিষয় হচ্ছে, এই তালিকায় মিয়ানমারের ওপরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।

    গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার বলছে, বিশ্বের শীর্ষ ১৪৫টি দেশের সামরিক শক্তির র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৫ তম। আর প্রতিবেশী মিয়ানমারের অবস্থান বাংলাদেশেরও পরে। তালিকায় ৩৭তম অবস্থানে রয়েছে মিয়ানমার।

    সংস্থাটি বলছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে এই সমীক্ষায়।

    এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে ‘এশিয়ান মিলিটারি স্ট্রেন্থ, ২০২৫’ শীর্ষক আলাদা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে ‘গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার’। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মহাদেশের ৪৫টি রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান ১৭তম। আর এশিয়ার এই র‌্যাংকিংয়ে মিয়ানমারের অবস্থান বাংলাদেশের ঠিক পরেই।

    গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী এশিয়ায় সামরিক শক্তিতে শীর্ষস্থানে রয়েছে রাশিয়া। তবে বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থান যুক্তরাষ্ট্রের দখলে। তালিকা অনুযায়ী, এশিয়ায় সামরিক শক্তিতে রাশিয়ার পরেই রয়েছে চীনের অবস্থান। এছাড়া শুরুর দিকে আরও রয়েছে ভারত, তুরস্ক, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান বেশ কিছুটা নিচে। আর বাংলাদেশ রয়েছে ১৭তম অবস্থানে।

    রিপোর্টে বলা হয়েছে— বাংলাদেশের মোট সামরিক বাহিনীর আকার প্রায় ৭ লাখ। এর মধ্যে সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭,৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫,১০০ নৌসেনা। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য।

    অন্যদিকে মিয়ানমারের মোট সামরিক বাহিনীর আকার ২ লাখ ২৫ হাজার। এর মধ্যে সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। মিয়ানমারের বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫০০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬,০০০ নৌসেনা। মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লক্ষ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য।

    এতে আরও বলা হয়েছে, মিয়ানমারের ৫৫ হাজার প্যারামিলিটারি ফোর্স রয়েছে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের প্যারামিলিটারি ফোর্স বিশ্বের মধ্যে এক নম্বরে। বাংলাদেশের রয়েছে ৬৮ লাখের বিশাল প্যারামিলিটারি ফোর্স। যুদ্ধ বা রাষ্ট্রের যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে তারা সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারেন।

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রয়েছে ৩২০টি যুদ্ধ ট্যাংক এবং ১১,৫৮৪ টি সামরিক যান। রয়েছে ৫৬টি স্ব-চালিত কামান, ৫৪৬টি আর্টিলারি সিস্টেম এবং ১১০টি রকেট সিস্টেম। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর রয়েছে ২১৪টি যুদ্ধবিমান। এর মধ্যে ৪২টি ফাইটার বিমান এবং ৮৬টি ট্রেইনি বিমান। এছাড়া রয়েছে ৬৫টি হেলিকপ্টার। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর রয়েছে ১১৮টি নৌযান, ৭টি ফ্রিগেট, ৬টি কার্ভেট এবং ২টি সাবমেরিন।

    অন্যদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর রয়েছে ৪৪৫টি যুদ্ধ ট্যাংক এবং ৫,৯৮০ টি সামরিক যান। রয়েছে ৯৫টি স্ব-চালিত কামান, ২১০টি আর্টিলারি সিস্টেম এবং ১৮০টি রকেট সিস্টেম। মিয়ানমারের বিমান বাহিনীর রয়েছে ৩১৭টি বিমান। এর মধ্যে ৫৮টি ফাইটার বিমান এবং ১১৯টি ট্রেইনি বিমান। মিয়ানমারের বিমান বাহিনীর ৮৩টি হেলিকপ্টার রয়েছে। দেশটির নৌবাহিনীর হাতে রয়েছে ২৩২টি নৌযান, ৬টি ফ্রিগেট, ৩টি কার্ভেট এবং ৩টি সাবমেরিন।

    গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিবছর বাংলাদেশের সামরিক বাজের প্রায় সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার। আর মিয়ানমারের সামরিক বাজের প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার।

  • বাইডেনের সেই মন্তব্যের সমালোচনায় ব্রিটিশ মন্ত্রী

    বাইডেনের সেই মন্তব্যের সমালোচনায় ব্রিটিশ মন্ত্রী

    ইউক্রেনে হামলা করায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘ক্ষমতায় থাকতে পারেন না’ বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের করা মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।

    যুক্তরাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী নাদিম জাহাবী ওই মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, মন্তব্যটি ক্রেমলিনকে আরও শক্তিশালী করতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

    কারা তাদের শাসন করবে সেটা রাশিয়ার জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে জানিয়ে রোববার নাদিম জাহাবী বলেন, আমি মনে করি এটা রাশিয়ার জনগণের ওপরই নির্ভর করে। ইউক্রেনে যা ঘটছে তাতে রাশিয়ান জনগণ বেশ বিরক্ত বলেই আমি মনে করি। এই অবৈধ আক্রমণ তাদের নিজস্ব জীবিকা ধ্বংস করেছে। তাদের অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে। পুতিন এবং তার মিত্রদের ভাগ্য রাশিয়ার জনগণই নির্ধারণ করবে বলে আমি মনে করি।

    এর আগে, শনিবার পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে ইউক্রেনের শরণার্থীদের কাছে তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শুনে পুতিনকে ‘কসাই’ আখ্যায়িত করেন বাইডেন।

    ওয়ারশর রয়্যাল কাসলে দেওয়া ভাষণে বাইডেন সোভিয়েত লৌহ যবনিকার অধীনে পোল্যান্ডের চার দশকের ইতিহাস মনে করিয়ে দেন। তিনি বলেন, বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার স্বার্থে রাশিয়ার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জরুরি ভিত্তিতে একাট্টা হওয়া দরকার।

    বক্তব্যের শেষ দিকে তিনি বলন, ঈশ্বরের দোহাই— এ লোকটা ক্ষমতায় থাকতে পারে না।

    এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মস্কো। ক্রেমলিন বলছে, পুতিন ক্ষমতায় থাকবেন কিনা, তা বাইডেন বলার কে?

    হোয়াইট হাউস অবশ্য পরে বিষয়টি এভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছে যে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন রাশিয়ায় সরকার পরিবর্তনের ডাক দেননি। তিনি আসলে বলতে চেয়েছেন, ইউক্রেনে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতের জন্য বিশ্বকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

  • যে কারণে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিল বাংলাদেশ

    যে কারণে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিল বাংলাদেশ

    ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধে জাতিসংঘের প্রথম প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল ১৪১টি দেশ। সেবার বাংলাদেশসহ ৩৫ দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।

    কিন্তু এবার নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করল বাংলাদেশ।  ভোট দিয়েছে ইউক্রেনের পক্ষে।

    বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের বিশেষ জরুরি অধিবেশন একটি প্রস্তাব ১৪০ ভোটে পাস হয়।

    যেখানে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে সৃষ্ট মানবিক সংকটের অবসানে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ত্রাণ কার্যক্রমের সুযোগ দিতে প্রস্তাব তুলে ইউক্রেন।

    আর ইউক্রেনের সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে বাংলাদেশ।

    এএফপি ও ইউএন নিউজ জানিয়েছে, ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৪০ দেশ। আর রাশিয়া, বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া ও সিরিয়া— এই পাঁচ দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়।  ৩৮ দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।

    ১৪০ দেশের মধ্যে ছিল বাংলাদেশও।

    ইউক্রেনের পক্ষে অবস্থান নেওয়া কারণ ব্যাখ্যা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।

    তিনি বলেন, ‘ওই প্রস্তাবের লক্ষ্য ছিল রাশিয়ার সমালোচনা করা, যুদ্ধ বন্ধ করা নয়।  আপনি যদি প্রস্তাবটা পড়েন, দেখবেন যে সেখানে যুদ্ধের অবসান চাওয়া হয়নি। ওটা ছিল কাউকে দোষারোপ করার জন্য। আমরা শান্তি চাই, সে জন্য আমরা যুদ্ধ চাই না। যুদ্ধের বিরুদ্ধে আমরা। যুদ্ধের সপক্ষে আমরা ভোট দিইনি।’

    ইউক্রেনের উত্থাপিত প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে— ভারত, চীন ও পাকিস্তান। আর এ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে পাঁচ দেশ। ত সেগুলো হচ্ছে— রাশিয়া, বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া ও সিরিয়া।

    এএফপি জানিয়েছে, বুধবার ইউক্রেনের মানবিক পরিস্থিতি নিয়েও রাশিয়া নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে। তবে সেটি গৃহীত হয়নি।

  • ছাগলের মাংস রান্না করে দিচ্ছে না স্ত্রী, পুলিশ ডাকলেন স্বামী

    ছাগলের মাংস রান্না করে দিচ্ছে না স্ত্রী, পুলিশ ডাকলেন স্বামী

    শখ ছিল ছাগলের মাংস খাওয়ার। তবে রান্না করতে রাজি হচ্ছিল না স্ত্রী। মদ্যপ স্বামীর ধারণা তার প্রতি অন্যায় হয়েছে। তাই সুবিচার চেয়ে স্ত্রীর নামে পুলিশে অভিযোগ জানালেন স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হায়দরাবাদে তেলঙ্গানার চেরলা গোয়ারাম গ্রামে।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, গত শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই দিন রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে ছাগলের মাংস রান্না করার নির্দেশ দেন নবীন। তবে মদ খেয়ে ঘরে ফেরায় মাংস রান্না করবে না বলে জানায় স্ত্রী। তার পরই নবীন পুলিশকে ফোন করেন। প্রায় ছয়বার পুলিশকে ফোন করেন স্ত্রীর নামে অভিযোগ জানাতে।

    বিষয়টিকে প্রথমে মজা হিসেবে ধরে নিলেও একাধিকবার ফোন আসায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে রাতে নবীনের বাড়িতে পুলিশ যায়। তবে পৌঁছলে তাকে মদ্যপ দেখে তারা ফিরে আসেন। পরে শনিবার সকালে তার বাড়ি থেকে নবীনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে জনসাধারণকে বিরক্ত করা এবং উপদ্রব করার জন্য মামলা করা হয়। পুলিশ পরে তাকে সতর্ক করে ছেড়েও দেয়।

  • পাকিস্তানে ভুলবশত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ, যা বলল ভারত

    পাকিস্তানে ভুলবশত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ, যা বলল ভারত

    ভারত থেকে উড়ে আসা একটি ‘উড়ন্ত বস্তু’ তাদের ভূখণ্ডে আছড়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছিল পাকিস্তান। এবার পাকিস্তানের সেই অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছে ভারত। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

    এ ব্যাপারে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতীয় দিক থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ঘটনাক্রমে ছোঁড়া হয়েছিল। ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটির’ কারণে এই ঘটনা ঘটে এবং এই ঘটনাকে ‘গভীরভাবে দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে ভারত।

    ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, গত ৯ মার্চ নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলাকালে দুর্ঘটনাবশত একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষিপ্ত হয়ে যায়। প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্যই ওই ঘটনা ঘটে। ভারত ইতোমধ্যেই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

    একই সঙ্গে বিবৃতিতে ভারতের তরফ থেকে এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে বলা হয়েছে, আমরা জানতে পেরেছি ওই ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের একটি এলাকায় গিয়ে পড়েছে। ঘটনাটি নিঃসন্দেহে খুব দুঃখজনক। তবে ওই দুর্ঘটনায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি জেনে আমরা কিছুটা নিশ্চিন্ত।

    প্রসঙ্গত, শব্দের চেয়েও দ্রুতগতিতে ভারত থেকে উড়ে আসা একটি ‘উড়ন্ত বস্তু’ তাদের দেশের জমিতে আছড়ে পড়েছে বলে এর আগে অভিযোগ জানায় পাকিস্তান।

    পাকিস্তানের  সেনা বাহিনী দাবি করেছিল, দেশটির খানেওয়াল জেলার মিয়া চান্নু এলাকায় ওই উড়ন্ত বস্তুটি আছড়ে পড়ে। ওই উড়ন্ত বস্তুর আঘাতের ফলে সেখানকার কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করে দেশটির সেনাবাহিনী। শুক্রবার এই ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদও জানায় পাকিস্তান।

  • বন্ধু নয় এমন দেশের তালিকা প্রকাশ করল রাশিয়া

    বন্ধু নয় এমন দেশের তালিকা প্রকাশ করল রাশিয়া

    ইউক্রেনে হামলার ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন চাপ অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা শক্তি। নিষেধাজ্ঞার কারণে বেড়েছে মুদ্রাস্থীতি, অনলাইন লেনদেন ব্যাহত হচ্ছে, বেড়ে গেছে কালোবাজারের ঝুঁকি।

    এমন পরিস্থিতিতে পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে রাশিয়া। বিশ্বের যেসব দেশ ও অঞ্চল রাশিয়ার প্রতি ‘বন্ধুত্বপূর্ণ নয়’— সে দেশগুলোর একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    ইউক্রেনে হামলার পর যেসব দেশ ও অঞ্চল বিরুদ্ধে রাশিয়া, তার প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিকদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাসহ অন্যান্য উদ্যোগ নিয়েছে তাদের রাখা হয়েছে এই তালিকায়।

    আল-জাজিরা জানিয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেসব দেশ ও অঞ্চল ‘অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপ’ নিয়েছে, তাদের তালিকা গতকাল সোমবার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

    রুশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বন্ধু নয়, এমন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এখন থেকে পর্যালোচনা করবে সরকারের একটি কমিশন।

    রাশিয়ার বন্ধু নয়, এমন দেশের তালিকায় রয়েছে আলবেনিয়া, অ্যান্ডোরা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো, আইসল্যান্ড, কানাডা, লিশটেনস্টাইন, মাইক্রোনেশিয়া, মনাকো, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, সান মারিনো, উত্তর মেসিডোনিয়া, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান, ইউক্রেন, মন্টেনেগ্রো, সুইজারল্যান্ড ও জাপান। এ ছাড়া ব্রিটিশশাসিত জার্সি দ্বীপপুঞ্জ, অ্যাঙ্গোলা, ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, জিব্রালটার এলাকাও রয়েছে নিষেধাজ্ঞার আওতায়।

    রুশ সরকার জানিয়েছে, এই ডিক্রি অনুযায়ী- যেসব রাশিয়ান নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র ও তার অঞ্চল এবং পৌরসভার সঙ্গে এসব দেশের তালিকায় থাকা বিদেশি ঋণদাতাদের সঙ্গে লেনদেন আছে তারা রুবলে অর্থ প্রদান করতে পারবে। তবে, নতুন অস্থায়ী এই পদ্ধতিটি প্রতি মাসে ১০ মিলিয়ন রুবলের (বা বিদেশি মুদ্রায় একই পরিমাণ) চেয়ে বেশি অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

    ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে নিত্য নতুন নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত রাশিয়া নিজেদের ডলারের রিজার্ভের ওপর চাপ এড়াতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।

    এদিকে ইরান ও সিরিয়াকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশের তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে রাশিয়া।

    নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষক ওয়েবসাইট ক্যাস্টেলুম ডট এআই এর তথ্য অনুযায়ী, ২২শে ফেব্রুয়ারির আগে থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ২ হাজার ৭৫৪টি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।

    হামলার পরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও ২ হাজার ৭৭৮টি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে সবমিলিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৩২টি।

    এর ফলে ইরানকেও ছাড়িয়ে গেছে রাশিয়া। ইরানের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৬১৬টি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।

    এসব নিষেধাজ্ঞার প্রায় ২১ শতাংশ জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিলে বাকি ১৮ শতাংশ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

  • ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা পুতিনের

    ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা পুতিনের

    রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে ‘সেনা অভিযান’ পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছেন।

    ইউক্রেনে যেন রাশিয়া আগ্রাসন না চালায়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যখন সেই বিষয়ে বৈঠক করছিল, তখনই টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে ‘সেনা অভিযান’ পরিচালনার ঘোষণা দেন মি. পুতিন।

    বৃহস্পতিবারে সকালে টেলিভিশনে প্রচারিত হওয়া ঐ ভাষণে মি. পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের সেনাদের আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানান।

    যেকোন ধরণের রক্তপাতের জন্য ইউক্রেন দায়ী থাকবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

    ঐ বক্তব্যে মি. পুতিন আরো বলেন, ইউক্রেন আর রুশ বাহিনীর মধ্যে সংঘাত ‘অবশ্যম্ভাবী’ ও ‘স্রেফ সময়ের ব্যাপার।’

    যুদ্ধ উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেনে যেমন রয়েছেন বাংলাদেশিরা

    তিনি মন্তব্য করেন ‘ন্যায়বিচার ও সত্য’ রাশিয়ার পক্ষে রয়েছে।

    তিনি সতর্ক করেন যে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কেউ পদক্ষেপ নিলে মস্কোর ‘তাৎক্ষণিক’ জবাব দিবে।

    জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ নিউ ইয়র্কে স্থানীয় সময় ৯ টা ৪০ মিনিটে ইউক্রেন সংকটের বিষয়ে এক জরুরি বৈঠকে বসে।

    গত তিনদিনের মধ্যে এটি নিরাপত্তা পরিষদের দ্বিতীয় জরুরি বৈঠক। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অনুরোধে এই বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে।

    বৈঠকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস ইউক্রেনে সেনা আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য ভ্লাদিমির পুতিনকে অনুরোধ করেন।

  • যুদ্ধ উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেনে যেমন রয়েছেন বাংলাদেশিরা

    যুদ্ধ উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেনে যেমন রয়েছেন বাংলাদেশিরা

    ইউক্রেনের খারকিভের বাসিন্দা খালেদা নাসরিন নীলিমা দেশটিতে রয়েছেন প্রায় ৩০ বছর ধরে। সোভিয়েত আমল থেকে শুরু করে ইউক্রেনের স্বাধীনতা, বর্তমান যুদ্ধাবস্থা-সবই তার চোখের সামনে ঘটেছে।

    কিন্তু এতদিন পর ইউক্রেনে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগতে শুরু করেছেন বাংলাদেশি এই চিকিৎসক।

    ”এতদিন ধরে যত্ন করে যে বাসা সাজিয়েছিলাম, এখন সেটা ছেড়ে যেতে হবে। আপাতত ওয়েস্টে, পোল্যান্ড সীমান্তের কাছাকাছি এক বন্ধুর বাসায় গিয়ে কিছুদিন থাকবো। এরপর সিদ্ধান্ত নেবো ইউক্রেনেই থাকবো, বাংলাদেশে যাবো নাকি অন্য কোথাও যাবো,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন ডা. খালেদা নাসরিন।

    তিনি যে শহরে থাকেন, সেই খারকিভ থেকে রাশিয়ার সীমান্তের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। এটিও পূর্ব ইউক্রেনের একটি শহর। বিমান, ট্যাঙ্ক, ট্রাক্টর ইত্যাদি ভারী যানবাহন তৈরির জন্য এই শহরের পরিচিতি রয়েছে।

    ”খু্বই উদ্বেগে আছি, তাই অন্য শহরে চলে যাচ্ছি। আগামীকালই চলে যাবো। এই বাসায় বিশ বছর ধরে থাকি, একেবারেই যেতে ইচ্ছা করছে না। কিন্তু আমি এখানে থাকা এখন একেবারেই নিরাপদ বোধ করছি না,” বলছিলেন ডাঃ নাসরিন।

    দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে রাশিয়ার স্বীকৃতি দেয়ার পর যুদ্ধ ভীতির ছায়া পড়তে শুরু করেছে এই শহরের ওপরেও। খালেদা নাসরিন আশঙ্কা করছেন, রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের পুরাদস্তুর যুদ্ধ বেধে গেলে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরের ওপরে প্রথমদিকে তার প্রভাব পড়বে। তাই এর মধ্যেই শহরের অনেক বাসিন্দা শহর ছাড়তে শুরু করেছেন।

    ”শহরের অবস্থা থমথমে, মানুষজনের চলাফেরা অনেক কমে গেছে। বিশেষ করে তরুণ বয়সীদের একেবারেই দেখা যাচ্ছে না। গাড়িতে, পথে আগের মতো মানুষের দেখা মেলে না। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। দোকানপাট খোলা আছে, তবে খাবার, সবজির দাম এক সপ্তাহের মধ্যেই ২০/৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে,” বলছেন তিনি।

    ডাঃ নীলিমা জানান, শহরের অনেক বাসিন্দা গোপনে শহর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তার সন্তান যে স্কুলে পড়ে, সেখানেও শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অর্ধেকের নীচে নেমে এসেছে।

    ইউক্রেনে আনুমানিক হিসাবে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন বলে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

    পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “তারা পুরো ইউক্রেনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং ইস্টার্ন ইউক্রেনের যেসব এলাকায় সমস্যা রয়েছে, সেখানেও অনেক বাংলাদেশি আছেন, স্টুডেন্ট আছেন।”

    ইউক্রেন

    ইউক্রেনে বাংলাদেশের দূতাবাস না থাকায় পোল্যান্ড দূতাবাস থেকে সেখানকার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

    রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন বলছেন, যদিও শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের জন্য বিভিন্ন কারণে ইউক্রেন ছাড়ার ব্যবহারিক নানা অসুবিধা আছে, কিন্তু পরিস্থিতির কারণে অনেকে বাধ্য হয়ে ইউক্রেন ছাড়ার কথা ভাবছেন এবং ছাড়ছেনও।

    ”যারা শিক্ষার্থী বা ব্যবসায়ী হিসাবে এসেছেন, বা চাকরি করেন, তারা চাইছেন সেখানে থেকে যেতে। তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে হয়তো তাদের সরে আসতে হবে। অনেকে এর মধ্যেই অন্যত্র সরে যাচ্ছেন,” বলছেন সুলতানা লায়লা হোসেন।

    তবে ইউক্রেনে থাকা বেশিরভাগ বাংলাদেশি এখনি বাংলাদেশে ফিরে যেতে চান না বলে তিনি জানিয়েছেন।

    ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের অবস্থা অবশ্য খারকিভের তুলনায় অনেক স্বাভাবিক রয়েছে।

    এই শহরের বাসিন্দা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মাহবুব আলম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ”সবার মধ্যে একটা চাপা উত্তেজনা আছে, তবে জীবনযাত্রা স্বাভাবিকই বলা চলে। কনসার্ট হচ্ছে, অফিস-আদালত, যানবাহন চলছে। কিন্তু সবার মধ্যেই রাশিয়া নিয়ে একটা আলোচনা আছে।”

    তবে রাশিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি যেসব শহরে বাংলাদেশিরা থাকেন, তারা বেশ উদ্বেগে রয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

    ”অনেকের সঙ্গেই আমার নিয়মিত কথা হচ্ছে, যোগাযোগ হচ্ছে। তারা একটু ভয়ে আছেন। তারা অনেকেই ডর্মে বা বাসা থাকছেন। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে গেছে তারা হয়তো কিয়েভে চলে আসবেন বা পোল্যান্ডে চলে যাবেন,” তিনি বলছেন।

    পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন বলছেন, ”দুইটি গ্রুপের মাধ্যমে ইউক্রেনে থাকা পাঁচশোর বেশি বাংলাদেশির সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। তাদের আমরা সহযোগিতার সবরকম আশ্বাস দিয়েছি। তারা পোল্যান্ডে আসলে এখানে সাময়িকভাবে থাকা বা আশ্রয়ের সব ব্যবস্থা করা হবে।”

    তিনি জানান, তাদের হিসাবে ইউক্রেনে এখন এক হাজার থেকে ১৫০০ বাংলাদেশি রয়েছেন। পূর্ব ইউক্রেনের যে অংশে সমস্যার তৈরি হয়েছে, সেখানেও অনেক বাংলাদেশি রয়েছেন বলে তিনি জানান।

    ডা. খালেদা নাসরিন খারকিভের একটি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসাবে করেন। সরকারি ভবনে তিনি পরিবার নিয়েই বসবাস করেন। তিনি জানাচ্ছেন, এক সপ্তাহ আগেও খারকিভের স্কুল বা শহর কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যুদ্ধের কোন সম্ভাবনাই নেই।

    কিন্তু গতকাল থেকে তাদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, সুযোগ থাকলে তারা যেন অন্য কোন জায়গায় চলে যান। খারকিভে থাকলে সাইরেন বাজতে শুরু করলে যেন তারা ভবনের নীচে থাকা বাঙ্কারে গিয়ে আশ্রয় নেন।

    ২০১৪ সালের ঘটনাগুলোও তার চোখের সামনেই ঘটেছে। তিনি বলছেন, সেই সময় সব কিছু একটা বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে ঘটেছে। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে যেন সবকিছুই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটছে।

    খারকিভের বাসিন্দাদের মধ্যে বড় একটি রুশ ভাষাভাষী। তাদের মধ্যে রাশিয়ার হামলা নিয়ে খুব বেশি উদ্বেগ তিনি দেখতে পাননি। তাদের অনেকে ভাবে মনে হয় যেন, কিছু আসে যায় না।

    তিনি বলছেন, ”যুদ্ধ না বাধলেও আমি হয় দেশে ফিরে যাবো, না হয় অন্য দেশে চলে যাবো। কারণ এখানে যেসব গভীর সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেগুলোর আর সমাধান হবে বলে আমার মনে হচ্ছে না।”

  • বিশ্বজুড়ে করোনায় বেড়েছে মৃত্যু ও শনাক্ত

    বিশ্বজুড়ে করোনায় বেড়েছে মৃত্যু ও শনাক্ত

    বিশ্বজুড়ে এখন সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। এই মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে আরও আট হাজার ২৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪ লাখ ৯০ হাজার ২ জন।
    শনিবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

    ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বে ১৮ কোটি ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৭৯৬ জন প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪০ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৫ জনের। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭ কোটি ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৭০৮ জন

    করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখন পর্যন্ত বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটি ৪৭ লাখ ১১ হাজার ৪১৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ২২ হাজার ৭০৮ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৯২ লাখ ২২ হাজার ৯৭২ জন।

    তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫৬ জনে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৭ হাজার ১৭৩ জনের। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৯৯ লাখ ২৫ হাজার ৮৮৩ জন।

    তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। যদিও মোট মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে তারা। সেখানে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩১ হাজার ৭৭৭ জনে। এছাড়া এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৯০ লাখ ২০ হাজার ৪৯৯ জন।

    সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে ফ্রান্স, রাশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া ও ইতালি।

    তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৯ নম্বরে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উদ্বেগজনক হারে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে গেছে। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৫৪৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৬ হাজার ৪ জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ লাখ ৬২ হাজার ৩৮৪ জন। তালিকায় বাংলাদেশের আগে রয়েছে রোমানিয়া আর পরে পাকিস্তান।