কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র মো: মনিরুল হক সাক্কুর অনিয়ম ও দুর্নীতির বিভিন্ন খবর ইতিমধ্যে ফাঁস হতে শুরু করেছে। সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন প্রজেক্ট ও উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের টাকা হরিলুট করে মেয়র সাক্কু সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। নগরীর বহুতল ভবনের নকশা অনুমোদনের নামে ফ্ল্যাট গ্রহনসহ সিটি কর্পোরেশনকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন মনিরুল হক সাক্কু। তার এসকল অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে স্বয়ং মুখ খুলেছেন সদর আসনের সাংসদ আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি।
কুমিল্লা নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড় দীপিকা সিনেমা হলের জায়গায় নির্মিত হওয়া রূপায়ন টাওয়ারের নকশা অনুমোদনের জন্য ৮০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েও নকশা অনুমোদনে তালবাহানা করেন মেয়র সাক্কু।
বিষয়টি রূপায়ন গ্রুপের মালিক পক্ষ কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপিকে অবহিত করেন। পরবর্তীতে এমপি বাহারের হস্তক্ষেপে সিটি কর্পোরেশন নকশা অনুমোদন হয়। গত শনিবার রাতে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে ১৬নং ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনার এক পর্যায়ে এমপি বাহার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন শুধু রূপায়ন টাওয়ার না, এরকম সকল টাওয়ারের নকশা অনুমোদন করতেই সাক্কু ঘুষ নিয়েছে।
ঠিকাদারদের কাছ থেকে ১০ পার্সেন্ট করে ঘুষ গ্রহন করতেন মেয়র সাক্কু। একই কাজের জন্য চার পাঁচবার টেন্ডার দিয়ে টাকা লুটপাট করেছেন বলেও জানা যায়।
Leave a Reply