লকডাউনের চতুর্থ দিন: জনমানবহীন শহরে রূপ নিয়েছে ঢাকা

গতবছরের মতো এবছরও বাংলাদেশের মানুষ কঠোর লকডাউনের মধ্যেই পবিত্র রমজান পালন করছে। শনিবার (১৭ এপ্রিল) সরকারের কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে ঢাকার চিত্র অনেকটাই জনমানবহীন।

করোনা সংক্রমণ কমাতে গত বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে আরোপিত সরকারের কঠোর লকডাউন চলবে আগামী বুধবার (২১ এপ্রিল) মধ্যরাত পর্যন্ত।

শনিবার ঢাকার রাস্তায় খুব কম ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে দেখা যায়। স্বাভাবিক সময়ে রাজধানীর ব্যস্ততম বিজয় স্মরণী এবং মিরপুর রোড ঘুরেও একই চিত্র লক্ষ্য করা যায়।

নগরবাসীর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের জন্য শহরের প্রতিটি সড়কে এবং মোড়গুলোতে পুলিশের চেকপোস্ট দেখা যায়। সাধারণ মানুষের জরুরি গন্তব্যে পৌঁছানোর একমাত্র সম্বল হিসেবে আবাসিক এলাকাগুলোর ভেতরে চলছে গুটিকয়েক রিকশা।

রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, সরকার নির্দেশিত সময়ে বাজারের দোকানগুলো খুললেও, নেই ক্রেতাদের ভীড়।

উত্তরা রাজলক্ষ্মী এলাকার একজন ট্রাফিক পরিদর্শক আখতার জানান, লকডাউনের গত তিনদিনের তুলনায় আজ ঢাকার রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা অনেক কম। রাজধানীর কোনো এলাকাতেই যানজট নেই বলে দাবি করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

মহাখালীর আরেক পুলিশ পরিদর্শক বলেন, এই এলাকাতে তিনটি পুলিশ চেকপোস্ট রয়েছে। আমরা পুলিশ পাস ছাড়া কাউকেই রাস্তায় গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে দিচ্ছি না। উপযুক্ত কারণ ছাড়া রাস্তায় বের হবার কারণে অনেককেই জরিমানা করা হয়েছে।

লকডাউনে রাজধানীর সকল বিপণীবিতান ও বড় দোকানগুলো বন্ধ রাখা হলেও, জনগণের চাহিদা মেটাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার। আবাসিক এলাকায় অবস্থিত এসকল দোকানগুলো প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খোলা থাকে।

করোনার সাম্প্রতিক সংক্রমণ বৃদ্ধি ও ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যই সরকার কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয়।

এদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ হাজার ২৮৩ জনে। এ সময়ে নতুন করে আরও ৩ হাজার ৪৭৩ জনের শনাক্ত হয়েছে। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ লাখ ১৫ হাজার ২৫২ জনে।

এর আগে শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশে প্রথমবারের ২৪ ঘণ্টায় এক শতাধিক মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এদিন মৃতের সংখ্যা ১০১ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৪১৭ জন ছিল।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *