ফেরি ও গাড়িতে শত শত শ্রমিকে ঠাসা, নেই স্বাস্থ্যবিধির ছিটেফোঁটাও
শ্রমিক পরিচয় দেয়ায় চেকপোস্টেও কাউকে আটকানো হয়নি
জটলাবাঁধা শ্রমিকদের দৃশ্য এখন কোভিড মোকাবিলা নিয়ে ভাবাচ্ছে
শৃঙ্খল ভাঙায় সংক্রমণের বড় ঝুঁকি দেখছে স্বাস্থ্য বিভাগ
শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হঠকারী— দাবি রাজনীতিবিদদের
যেহেতু শিল্পপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলো শ্রমিকরা ঢাকায় আসছেন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে —ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা সভাপতি, কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি
খুলছে কলকারখানা। ঢাকায় ভয়াবহ জটলাবাঁধা মানুষের স্রোত। ফেরিতে-গাড়িতে শত শত শ্রমিকে ঠাসা। ট্রাক-পিকআপ, ভ্যানেও গাদাগাদি। নেই স্বাস্থ্যবিধির ছিটেফোঁটাও। পথে পথে শ্রমিক পরিচয় দেয়ায় চেকপোস্টেও কাউকে আটকানো হয়নি। বিধিনিষেধের মধ্যে শ্রমিকরা কীভাবে ঢাকায় আসছেন, সেটা নীতিনির্ধারকদের মাথায় কীভাবে ছিলো— এ নিয়ে দেশের অভিজ্ঞ মহল প্রশ্ন তুলেছে। কারণ ১৫ দিন সব শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকবে, এই ঘোষণা দিয়ে তাদের বাড়ি পাঠানো হয়েছে। শ্রমিকদের এভাবে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফের ঢাকায় ঢোকা মানবাধিকার লঙ্ঘন বলেও কেউ কেউ মনে করছেন।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার কিছু ব্যবসায়ী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে যত দ্রুত সম্ভব শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার অনুরোধ করেন। সরকারও তাদের অনুরোধ গ্রহণ করে। কিন্তু শ্রমিকের ফেরা নিয়ে রাষ্ট্র কিংবা মালিক কেউ ভাবেনি বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। চাকরি বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা ঢাকায় ঢুকছেন। দেশের বড় একটি অংশ প্রশ্ন তুলে বলছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাধ্যতামূলক বন্ধ, কিছু অফিস বন্ধ, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বন্ধ, আর সবকিছু চালু। মানুষ বাইরে ঘুরছে-ফিরছে। শিশু-কিশোর-তরুণরা খোলা জায়গায় ফুটবল-ক্রিকেট খেলছে। অনেকে দোকানে বসে চা পান করছে, সিগারেট ফুঁকছে আর আড্ডা দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জটলাবাঁধা শ্রমিকের দৃশ্যও এখন ভাবাচ্ছে কোভিড মোকাবিলা নিয়ে।
জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে চলতি বছরের এপ্রিলে সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করলেও রপ্তানিমুখী পোশাকসহ অন্যান্য শিল্প-কারখানা উৎপাদন চালানোর সুযোগ পায়। সর্বশেষ গত ২৮ জুন শুরু হওয়া সীমিত ও পরে ১ থেকে ১৪ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধেও পোশাকসহ অন্যান্য শিল্প-কারখানা চালু ছিলো। তবে ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ১৪ দিনের কঠোরতম বিধিনিষেধে সব ধরনের শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকার প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে সরকারের সঙ্গে দেনদরবারে নামেন পোশাক ও বস্ত্র খাতের পাঁচ সংগঠনের নেতারা। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দেন তারা। এ নিয়ে কারখানা মালিকদের ভাষ্য— আন্তর্জাতিক বাজার হারানোর শঙ্কা, সরবরাহ শৃঙ্খল ভেঙে পড়া, বন্দরে জট, সার্বিক অর্থনীতিসহ সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই তারা সরকারকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার অনুরোধ জানাতে বাধ্য হয়েছেন। তবে সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কারণে দেশে করোনার সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হলো বলে মনে করছে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তাদের মতে, এই মুহূর্তে কলকারখানা খুললে সংক্রমণ আরও বাড়বে। তাই সরকারের উচিত চলমান বিধিনিষেধ আরও কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য ব্যবস্থা নেয়া এবং চলমান লকডাউন আরও বাড়ানো। না হয় আগামী মাসে পুরো দেশটা ডেঞ্জার জোনে পরিণত হবে। ইতোমধ্যে দেশের কোভিড হাসপাতালগুলোর সিট পূর্ণ হয়ে গেছে। আইসিইউ কিংবা সাধারণ সিটও খালি নেই।
ফেরিতে গাড়ি নেই, মানুষে ঠাসা : ফেরিতে বাড়ছে চাপ। মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট দিয়ে যাত্রীরা হন্যে হয়ে ঢাকায় ছুটছেন। গতকাল সকাল থেকে দুই ঘাট দিয়ে লোকজনের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। যাত্রীরা গাগাগাদি করেই উত্তাল পদ্মা পার হচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বালাই নেই। এদিকে লকডাউনের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া গুণে আর বিড়ম্বনা মাথায় নিয়ে বিভিন্ন উপায়ে ঢাকায় ফিরছে মানুষ। বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, ‘রোববার থেকে গার্মেন্টস ও কলকারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। ফলে শনিবার সকাল থেকে হাজার হাজার যাত্রী গন্তব্যে ফিরতে ঘাটে ভিড় করেন। লকডাউনে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় চাপ পড়েছে ফেরিতে। ফলে যাত্রীরা গাদাগাদি করেই ফেরিতে করে পদ্মা পার হচ্ছেন। তবে অধিকাংশ যাত্রীই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না; মুখে মাস্ক দেখা যায়নি অনেকের।’এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তিন চাকার বিভিন্ন পরিবহন ও মোটরসাইকেলে করে অনেক যাত্রীকে বাংলাবাজার ঘাটে আসতে দেখা গেছে। পরে সেখান থেকে ফেরিতে উঠছিলেন তারা। আরিফ নামে এক গার্মেন্টসকর্মী বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। পেটের দায়ে যেতে হচ্ছে কিন্তু সরকার আমাদের জন্য কিছু করছে না। একদিকে লকডাউন, আবার ফ্যাক্টরিও খোলা। আমরা কী করব? আমরা পড়েছি ভোগান্তিতে। এক টাকার ভাড়া ১০ টাকা দিতে হচ্ছে।’ বিআইডব্লিউটিসির সহ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, রোববার থেকে শিল্প-কলকারখানা ও উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান খুলছে। তাই সকাল থেকে ঢাকা ফিরতে শিমুলিয়ায় যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। লকডাউনের কারণে লঞ্চ, স্পিডবোটসহ সব নৌযান বন্ধ থাকায় পদ্মা পারপারে ফেরিতে চাপ পড়েছে।
ট্রাক, পিকআপভ্যানে করেই উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকায় ঢুকছে মানুষ : গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ঢাকামুখী মানুষের ঢল নেমেছে। খোলা ট্রাক, পিকআপভ্যান, প্রাইভেটকার, সিএনজি ও মোটরসাইকেলে গাদাগাদি করে গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা। এতে করে গুনতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া। কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড়, এলেঙ্গা, টাঙ্গাইল বাইপাস, রাবনা বাইপাস, মির্জাপুর, গোড়াই এলাকায় যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। যে যেভাবে পারছেন ঢাকামুখী হচ্ছেন। হেঁটেও যেতে দেখা যায় অনেককে। পুলিশের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি এ সড়কটিতে। এ ছাড়া মানিকগঞ্জ থেকে রিকশা-ভ্যানে করেই ঢাকায় ঢুকছে মানুষ। মহাসড়কের মানিকগঞ্জে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে ছোট যানবাহনে আসা যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হয়। তবু আটকে রাখা যায়নি তাদের। হেঁটে তল্লাশি চৌকি এড়িয়ে কিছু দূর গিয়ে আবার রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইকে করে গন্তব্য ঢাকার দিকে যাচ্ছেন। দেখা গেছে, পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইকে করে পথ ভেঙে ভেঙে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের দিকে আসছে ঢাকায় কর্মস্থলগামী মানুষ। তবে বাসস্ট্যান্ড এলাকা পুলিশের তল্লাশি চৌকির আগে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরের পাশে এসব যানবাহন থেকে নেমে হেঁটে বাসস্ট্যান্ড এলাকার পূর্বপাশে পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের সামনে আসে তারা। এরপর সেখান রিকশা-ভ্যানসহ ছোট ছোট যানবাহনে নয়াডিঙ্গী পর্যন্ত যাচ্ছে। ঢাকার অদূরে সালেপুর সেতুর দুইপাশে যানজট লেগে আছে।
হেঁটে নারায়াণগঞ্জে ঢুকছে মানুষ : ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে স্রোতের মতো মানুষ ঢুকছে শিল্পাঞ্চল নারায়ণগঞ্জে। চাকরি বাঁচাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিকল্প উপায়ে নারায়ণগঞ্জে আসছেন শ্রমিকরা। বেলা ১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, শত শত শ্রমিক হেঁটে নারায়ণগঞ্জে আসছেন। আবার কেউ মাইক্রোবাসে কেউবা ট্রাকে, আবার কেউ মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে আসছেন। ট্রাকে করে রংপুর থেকে এসেছেন আকলিমা, সুমা, হূদয়, সানু মিয়াসহ অনেক শ্রমিক। তারা বলেন, কারখানা খুলে দিয়েছে। কাল থেকেই নাকি কারখানা চলবে। এখন কারখানায় গিয়ে ডিউটি করতে না পারলে চাকরি থাকবে না। তাই সবাই মিলে যে ট্রাকে বাড়িতে গিয়েছিলাম সে ট্রাকেই আবার নারায়ণগঞ্জে এলাম। নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমার মূলত সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করি। সরকার যেভাবে নির্দেশ দেয় আমরা তা পালন করি। যেহেতু রোববার রপ্তানিমুখী কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ ব্যাপারে সরকারি প্রজ্ঞাপনে যা বলা হয়েছে তা মানা হচ্ছে। পরিচয়পত্র যাচাই করে তাদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে।’
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘কারখানার আশপাশে বসবাসকারী শ্রমিকদের দিয়েই আজ থেকে উৎপাদন কার্যক্রম চালু করা হবে। এ সময়ের মধ্যে যেসব শ্রমিক কাজে যোগ দিতে পারবেন না তাদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হবে না। তাদের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় আসার দরকার নেই। কঠোর বিধিনিষেধ শেষ হলে পর্যায়ক্রমে ঈদের ছুটিতে গ্রামে যাওয়া শ্রমিকরা কারখানার কাজে যোগ দিতে পারবেন। কাজে যোগ না দিলে কারো চাকরি হারানোর ভয় নেই। গণপরিবহন বন্ধ রেখে আজ থেকে গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়া সরকারের হটকারী সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাপ। দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, ‘লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ। অন্যদিকে শ্রমিকরা যখন গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন ঠিক এই সময়ে কারখানা খুলে দেয়া সরকারের হটকারী সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়।’
মহামারি নিয়ন্ত্রণের লকডাউনের মধ্যে কারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন বাম সংগঠন। সরকারি এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে সংগঠনগুলো বলছে, এর ফলে শ্রমিকদের ‘ঝুঁকির’ মধ্যে ফেলে দেয়া হলো। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘বর্তমান ভোটডাকাতির সরকার মানুষের জীবন রক্ষা নয়, পোশাক মালিকদের মুনাফা লাভের স্বার্থরক্ষাকারী পাহারাদার।’ করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু যেখানে প্রতিনিয়ত বাড়ছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যখন লকডাউন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে, তখন কারখানা খোলার ঘোষণায় গোটা দেশবাসী ‘হতবাক’ বলে মন্তব্য করেন বাম নেতারা। তারা আরো বলেন, জনগণের কাছে দায়হীন আমলানির্ভর লুটপাটকারীদের স্বার্থ রক্ষাকারী সরকার গত বছরও এপ্রিল-মে মাসে সাধারণ ছুটি ও গণপরিবহন বন্ধ থাকার সময় গার্মেন্টস খোলা ও সমালোচনার মুখে পুনরায় বন্ধ করার মাধ্যমে শ্রমিকদের নির্মম ভোগান্তির মধ্যে ফেলেছিল। ছুটিতে বাড়ি যাওয়া শ্রমিকরা শত শত মাইল হেঁটে, রিকশা-ভ্যান-অটো, মাছের ড্রামে অবর্ণনীয় কষ্ট করে একবার ঢাকা-সাভার-গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জ এসেছিলেন, আবার বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। এতে করোনা সংক্রমণ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, ‘এখন যেহেতু এটা খুলে দেয়া হলো এবং কয়েক লাখ শ্রমিক কাজে যোগদান করবে, যারা ঢাকায় আসেনি তারা আসবে। এ সময় সংক্রমণের ঝুঁকিটা বাড়বে। তবে বারবার কারখানা মালিকরা যেটা বলেন, শ্রমিকদের এখানে-ওখানে থাকা ও ঘোরাঘুরি বন্ধ করে কারখানার মধ্যে রাখবেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করাবেন, সেটা যদি মানাতে পারেন, ভালো। হয়তো একটু কম থাকবে ঝুঁকি। আর যদি তা পারেন তাহলে ঝুঁকিটা ভয়াবহ বাড়বে।’

Leave a Reply