– মোহাম্মদ মাসুদ হাওলাদার
বাউনিয়ার চাষা আলহাজ্ব জহর মিয়া
– এই তো সেদিন, দশ কি বারো বছর আগে,
আহা! বলদ ছাড়া জমি কর্ষে কি যে খাটুনি লাগে।
হঠাৎই তাহার সখ জাগিলো, হইবে বড় নেতা,
আলাদীনের এক চেরাগ পাইয়া ঘুচিলো সেই ব্যাথা।
পাতিনেতা হইয়া তবুও গড়িলো সম্পদের পাহাড়,
প্রাডো, নোভা আর এক্স-করোল্লা আরো কত কি গাড়ির বাহার।
চাঁদাবাজি, ভূমিদখল, মাদকব্যবসাসহ যত অপকর্ম, দিলো
এনে তাহারে কুর্নিশ করিবার চামচাদের বর্ম।
শুনিতে পাওয়া যায়, বাড়িখানা তাহার রাজপ্রাসাদ যেন,
গেইটের দাম দু’কোটি আর বাড়িটির পঞ্চাশ, নয় তো হেন।
হারাম টাকায় আলহাজ্ব হইয়া আরো বাড়িলো স্বাদ,
এবার নগরভ্রাতা হইবে, জাগিছে দিনরাত।
ষোল আনার দু’আনা দিয়া করেন ফুটানি,
বাকি চৌদ্দ আনা রাখিছে কোন সিন্দুকে কি জানি!
এমন আলহাজ্বে ভরিয়া গিয়াছে, বাঙলার পবিত্র জমি
– গরীব মরিছে বারবার, প্রতিদিন, বাড়িছে ফারাক, ও! স্বামী।
এক পাগলা কবি কি ছাই একটু, করিলো প্রতিবাদ
– শালা আন্ডারমেট্রিক আলহাজ্বে, শাসিয়ে গেলো, জিন্দাবাদ।
কবিও কি কম যায় নাকি! ধরিলো ধৈর্য
– বড়ভাই, মামা-চাচা-খালু থাকিলে পরে, দেখিয়ে দিতো
– শিক্ষা না কালো টাকা, কোনটা কদর্য।
একটু অপেক্ষা, আর একটু অপেক্ষা
– খোদার গজবে কবিও বিশ্বাস করে।
Leave a Reply