চাঁদা না পেয়ে সাভারের আশুলিয়ায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় হামলা চালিয়ে পাঁচ শ্রমিককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের বিচার চেয়ে নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার চক্রবর্তী এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (৪ মে) বিকেলে আশুলিয়ার চক্রবর্তী এলাকায় কেএসি ফ্যাশন ওয়ার লিমিটেড কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
কেএসি ফ্যাশন ওয়ার লিমিটেডের পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, গাজীপুর সিটি করর্পোরেশনের দুই নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোন্তাজ উদ্দিন মন্ডল প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে ওই কারখানায় কয়েক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করতে যান।
এসময় কারখানার নিরাপত্তাকর্মীরা সন্ত্রাসীদের কারখানায় প্রবেশ করতে না দিলে সন্ত্রাসীরা কারখানার নিরাপত্তাকর্মীসহ পাঁচ জনকে মারধর করে প্রবেশ করে।
পরে কারখানায় থাকা শ্রমিকরা ওই কাউন্সিলরকে আটক করলে ওই কাউন্সিলর পুলিশের উপস্থিতে মুচলেকা দিয়ে চলে যান। পরে আবারও গতকাল রাতে কারখানার ওহিদুল ইসলাম নামের এক কর্মকর্তাকে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেন ওই কাউন্সিলর।
এছাড়া এ ঘটনায় সন্ত্রাসীরা গতকাল চক্রবর্তী এলাকায় স্থানীয় ওই গার্মেন্টস এর এক কর্মকর্তার দোকানপাট ভাঙচুর করে ও নগদ টাকা লুটপাট করে কাউন্সিলর মোন্তাজ উদ্দিন মন্ডলের লোকজন। পরে এ ঘটনায় ওই কাউন্সিলরের বিচার চেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে প্রায় এক ঘন্টা নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের চক্রবর্তী এলাকা অবরোধ করে রাখে শ্রমিকরা।
পরে খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ওই কাউন্সিলের বিচারের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ তুলে নিয়ে কারখানায় ফিরে যায়।
এদিকে ঘটনায় ওই মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এঘটনায় স্থানীয় থানায় ওই কাউন্সিলরের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহত গার্মেন্টস শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কারখানা কতৃপক্ষ জানায়, কাউন্সিলর মোন্তাজ উদ্দিন মন্ডলের লোকজনের অত্যাচারে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন সন্ত্রাসীদের ভয়ে শ্রমিকরাও আতঙ্কে রয়েছেন। এসময় তারা ওই কাউন্সিলরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান স্থানীয় প্রশাসনের কাছে।
অভিযোগ রয়েছে ওই কউন্সিলর নিজ এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। রাষ্ট্রের সম্পদ চুরিকরা এই মানবের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
পুলিশ বলছে, তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply