এমইএস :
করোনা ভাইরাসের মহামারিতে সারা দেশের মানুষ বিপদগ্রস্থ ও দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে অন্যাদকে নারী পাচারকারী জালাল তার অবৈধ দেহ ও মাদক ব্যবসা প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে।।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কুমিল্লা অংশে শতাধিক আবাসিক হোটেল-রেস্টুরেন্ট রয়েছে। অধিকাংশ রেস্টুরেন্টের উপরে আবাসিক হোটেল রয়েছে। এই সব আবাসিক হোটেলে নিরবে চলছে অবৈধ দেহ ও মাদক ব্যবসা। একাধিকবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রন করলেও কিছুদিন বিরতি দিয়ে পুনরায় শুরু হয় অবৈধ কর্মকান্ড। কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলার পানিপড়া গ্রামের বখাটে যুবক জালাল আবারও প্রশাসনের চোখ ফাকিঁ দিয়ে দেহ ও মাদক ব্যবসা করে দেশের যুব সমাজ ও স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের জীবনকে অন্ধকারে নিয়ে যাচ্ছে । মহাসড়কের আমতলী এলাকায় সাবেক গোমতী হোটেল বর্তমানে অভি আবাসিক হোটেল নামকরন করে গত ১০ থেকে ১২ বছর ধরে দেহ ব্যবসা, নারী পাচার, ইয়াবা ও মাদকের জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে আসছে জালাল। ২০১২ সালে ২৫ ফেব্রুয়ারী তৎকালীন সদর সার্কেল এএসপি ইলতুৎ মিষ ও কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মহি উদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে গোমতী হোটেল থেকে
নারীর পাচারকারী জালালের সেকেন্ড ইন কমান্ড চোদ্দগ্রামের মনিরকে আটক করে। এ সময় হোটেলের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশী চালিয়ে যুগান্তরের ভুয়া সাংবাদিক ইকবালসহ আরো ৪ জনকে আটক করা হয়। পরদিন ২৬ ফেব্র“য়ারী জালাল হোটেলে আসার খবর পেয়ে থানা পুলিশ পুনরায় অভিযান চালিয়েও জালালকে গ্রেফতার করা যায়নি। তার হোটেলে বিশেষ ভাবে তৈরি
আন্ডার গ্রাউন্ডে লুকিয়ে থাকার বিষয় জানা যায়।একই বছরের ২৪ মার্চ কোতয়ালী থানা পুলিশ হোটেল গোমতীর ভিতরে বিশেষ ভাবে তৈরি গোপন কক্ষের সন্ধান পেয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় পুলিশ জালালের বিরুদ্ধে পৃথক ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করে। স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, জালাল বিভিন্ন জেলা থেকে গরীব ও অসহায় মেয়েদের চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন দেশে পাচার ও সুন্দরী যুবতীদের আটকে রেখে পতিতা কাজে লিপ্ত করতে বাধ্য করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক হোটেল ব্যবসায়ী জানান, জালাল সুন্দরী যুবতী মেয়েদের হোটেল ও আবিজাত ফ্লাটের বাসা -বাড়িসহ কুমিল্লার একাধিক আবাসিক হোটেলে চুক্তি ও কমিশনের মাধ্যমে সরবরাহ করে থাকে। তার কাছে আনুমানিক অর্ধশতাধিক যুবতী মেয়ে জিম্মি হয়ে আছে। যুবতীদের বিভিন্ন ভয় দেখিয়ে অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করে। কেউ পালানোর চেষ্ঠা করলে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে থাকে। সুত্র জানায় অবৈধ কাজে লিপ্ত নারীদের দিয়ে ইয়াবার চালান রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে কোটি টাকার মালিক বনে যায়। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি নামধারী সাংবাদিক ও প্রশাসনের নাম বিক্রি করে ওপেন সিক্রেট নিয়মে জালাল দীর্ঘদিন ধরে নারী পাচার,পতিতা ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়িরা কুমিল্লা পুলিশ সুপার , ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশের দৃষ্টিআর্কষন করে দেহ ব্যবসায়ি মাদক সম্রাট জালালকে দ্রুত গ্রেফতার করে এলাকার সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করেন।
