আমরা এ পৃথিবীতে সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ মানুষ হয়ে জন্মেছি। ভুল-ত্রুটি নিয়েই আমাদের জীবন চলা। ভালো-মন্দ মিলিয়েই আমাদের বেঁচে থাকা নয়নাভিরাম সুন্দর এ বসুন্ধরায়। যারা সচেতন, বিবেকবান, নৈতিকতা সম্পন্ন, চারিত্রিক সৌন্দর্যে বলিয়ান তাঁদের মনের একান্ত মিনতি “আমরা ভালো মানুষ হতে চাই”। যারা ভালো, আদর্শবান, শ্রেষ্ঠ মানুষ তাদের জীবনের সৌন্দর্যের আলোতেই আলোকিত হয় পরিবার, সমাজ, জাতি, রাষ্ট্রসহ গোটা বিশ্ব। তারা সমাজ, জাতি, রাষ্ট্রের মণিমুক্তাতুল্য অমূল্য রত্ন, যারা হবে সকলের জন্য অনুকরণীয়, অনুসরণীয়, মডেল বা আদর্শ। এমনি একজন সাদামনের মানুষ যিনি সারাজীবন মানুষের কল্যানে নিরবে নিভৃতে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২,৩ ও ৫নং ওয়ার্ডের সফল কাউন্সিলর বেগম মেহেরুন্নেসা হক।
একান্ত আলাপচারিতায় তিনি বলেন, মানবসমাজে একজন মানুষ যদি তার সততা, সদিচ্ছা ও সাহসিকতার যথাযথ ব্যবহার এবং প্রয়োগ করে সমাজ, দেশ ও জাতিকে কিছু উপহার দিতে চান তবে তা অনায়াসেই প্রদান করতে পারেন।
বেগম মেহেরুন্নেসা হক কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।
একজন সৎ, সাধারণ গর্বিত পিতার সন্তান পিতার আদর্শ ও শিক্ষা-দীক্ষায় দীক্ষিত এবং অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি গুনবতী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, গুনবতী কলেজ থেকে এইচএসসি পরবর্তীতে ১৯৭৫ইং সনে ঢাকা ইডেন কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। তিনি একাধারে একজন মা, মানুষ গড়ার কারিগর খ্যাত একজন শিক্ষিকা, সমাজসেবক ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি ১৯৭৫ইং সন থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত মিরপুরের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ জান্নাত একাডেমী হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন।
১৯৮৪ইং সনে শুক্কুর চৌধুরীর হাত ধরে বিএনপির সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি ঐ সময় বৃহত্তর মিরপুর থানার সাধারন সম্পাদিকা ছিলেন।
১৯৭২ইং সনে তিনি মিরপুরের এই বিহারী পল্লীতে বাংগালী বলতে একমাত্র মেহেরুন্নেসা হকের পরিবারকেই বুঝাতো । এই মহীয়সী নারী পেশায় শিক্ষকতা করেছেন, করেছেন সক্রিয় রাজনীতি এবং সমাজসেবায় রেখেছেন অগ্রনী ভূমিকা।
রাজপথে আন্দোলন করেছেন, সংগ্রাম করেছেন এমনকি জেল জুলুমের শিকারও হয়েছেন। যেখানেই বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের কর্মীরা আহত হয়েছে- সেখানেই ছুটে গিয়েছেন। আওয়ামী দুঃশাসনের এই সময়েও ১০-১২হাজারের বেশি ভোট পেয়ে এই আসনটিকে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে ধরে রেখেছেন।
একান্ত আলাপচারিতায় তিনি আরো বলেন, মিরপুর পল্লবীতে বিএনপির অফিস বলতে বুঝায় আমার বাসাটি। আমার কার্যালয়টি হচ্ছে বিএনপির অফিস। যেখানে বসেই আমি আমার পুরো পল্লবীর মানুষের সুখ-দুঃখের সারথি হয়ে কাজ করছি।
৬৫ বছর বয়সেও জেল খেটেছি, মামলা-হামলার শিকার হয়েও এলাকা ছাড়া হয়নি। মানুষের পাশ থেকে সরে যাইনি। বর্তমানে ১৭টি মামলা আমার বিরুদ্ধে চলমান। বহুবার র্যাব, পুলিশ আমার বাড়ি-ঘর ভাংচুর করেছে। পল্লবীতে এতো নির্যাতিত পরিবার আছে বলে আমার জানা নেই।
আমার ছেলে ড. নয়ন বাঙালি পুলিশের নির্যাতনে আজ পঙ্গু। ৩৯টি মামলার ফেরারি আসামি হয়ে নির্বাসিত জীবন যাপন করছে।
ছোট ছেলে গোলাম মোহাম্মদ ফারুকী নাদিমকে রাতের আধারে র্যাব ধরে নিয়ে অমানসিক নির্যাতন করেন। মামলা হামলা শিকার হয়েছেন। বর্তমানে সেও নির্বাসিত জীবন যাবন যাপন করছেন। তার জীবনের হুমকি রয়েছে। বহুবার তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছে।
বেগম মেহেরুন্নেসা হকের স্বামী মৃত একরামুল হক একজন প্রতিথযশা নাগরিক ছিলেন। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের একজন যুগ্ম সচিব ছিলেন। পারিবারিক জীবনে বেগম মেহেরুন্নেসা ২ছেলে ২কন্যা সন্তানের জননী।
বেগম মেহেরুন্নেসা হক বলেন, আমার জীবনে আর কোন চাওয়া-পাওয়ার কিছু নাই। জীবনের বাকী সময়টুকু জনগনের কল্যানে কাজ করে যেতে চাই।
একজন মহিয়সী নারী বেগম মেহেরুন্নেসা হক। তার জীবনের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় অনেক লড়াই-সংগ্রাম বহু বাধা চড়াই-উৎরাই তিনি এই পর্যন্ত এসেছেন। এই পর্যন্ত বহু সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, মাদরাসার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন।
এক নজরে বেগম মেহেরুন্নেসা হক ঃ-
রাজধানী পল্লবীর ২, ৩, ও ৫নং ওয়ার্ডের জনসেবার মহান ব্রত নিয়ে ২০০৩ সালে অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচন করেন বেগম মেহেরুন্নেসা হক। এই অঞ্চলের মানুষের আশা, ভরসা আর বিশ্বাসের একটি নাম বেগম মেহেরুন্নোসা হক। তিনি তার সততা, দক্ষতা আর ন্যায়পরায়তার কারনে স্বল্প সময়ে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। পর পর ৪বার তিনি কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। সবশেষ ২০২০ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন ও নির্বাচিত হয়েছিলেন।
নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও বিলাসিতাকে অবজ্ঞা করে জনসেবার মহৎ এক ব্রত এবং লক্ষ্য নিয়ে, সমাজ ও নগরবাসীর কল্যাণার্থে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন তিনি।
ভদ্র, শিক্ষিত, জনপ্রিয় এই মানুষটির আচার-আচরণ, কথাবার্তা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মানুষের দৃষ্টি ও হৃদয়কে জয় করেছিল।
বেগম মেহেরুন্নেসা হক ১৯৮৪ সালে বৃহত্তর মিরপুর থানা মহিলা দলের সম্পাদিকা পদে যোগদানের মাধ্যমে বিএনপিতে যোগদান করেন।
দীর্ঘদিন মহিলা সম্পাদিকা দায়িত্ব পালনের পর ১৯৮৬ সালে তিনি মিরপুর পল্লবী থানার ০৫নং ওয়ার্ডের সভানেত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। তার সততা ও আদর্শিক পথচলার কারনে কেন্দ্র তাকে মূল্যায়ন করে ২০০৩ সালে পল্লবী থানা মহিলা দলের আহবায়ক মনোনীত করেন। তৃনমৃল থেকে গড়া উঠা বেগম মেহেরুন্নেসা একজন কর্মীবান্ধব রাজনীতিবিদ। ২০০৪ সালে তাকে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তর সহ-সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
Looking for a way to play slots seriously can be used at every camp Play any game that breaks that game. Fun spins increase your chances of winning. must meet the needs of the new generation as best as possible Because this is a helper that will take you rich without knowing it. You will find fun 24 hours a day with online slots, easy to make money, not disappointed. worthy of investment Apply for a new one today and receive free credits to play slots 100% without a vest, don’t miss out on everything.